সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মনের কথা মনই জানে। প্রাণের কথা বোঝে প্রাণ। “থাকব না কো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎটাকে” – এ কথার মর্ম শুধুমাত্র ভ্রমণ তৃষ্ণার্ত বাঙালিই বোঝেন। বোঝেন সমুদ্রের নেশা, পাহাড়ের ডাক। যা উপেক্ষা করা প্রায় অসম্ভব। শীতকাল কবে আসবে? এ প্রশ্ন সুপর্ণার কাছে জানতে না চেয়ে আবহাওয়ার পরিবর্তনের দিকে খেয়াল রাখুন। পুজোর (Durga Puja 2020) পরের এই হালকা শীতের সময়ই তো বাঙালির ভ্রমণের আদর্শ সময়। অজানা, অচেনাকে খুঁজে বেরানোর তাগিদ যাঁদের মনে থাকে, তাঁরাই খুঁজে নেন বিদ্যাংয়ের (Bidyang) মতো নির্জনতার বিলাসিতা।
উত্তরবঙ্গের এই ছোট্ট গ্রাম ধীরে ধীরে পর্যটকের পছন্দের তালিকায় উঠে আসছে। কালিম্পং (Kalimpong) শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ছোট্ট গ্রামটি যেন প্রকৃতির প্রেয়সী। রেলি নদীর (Reli River) পাশে যেন রচিত হয়েছে এক সুন্দর প্রেমের উপাখ্যান।
[আরও পড়ুন: তিস্তা-কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রেমের কাহিনি শোনাবে মনমোহিনী ভালুখোপ, আসছেন তো?]
কী কী রয়েছে এখানে?
- সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত গ্রামটি যেন কোনও চিত্রকরের কল্পনার সাম্রাজ্য।
- চারদিকে সবুজের সমাহার। পাহাড়ের ধাপে ধাপে চাষের জমিও অপূর্ব সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে।
- পাশে দণ্ডায়মান পাহাড়ে হিমালয়ের গাছগাছালিদের দাপট। ফ্লোরা আর ফনার আঁতুরঘর।
- শীতের এই সময়ে গেলে দেখা যাবে রংবেরঙের ফুলের সমাহার।
- নানা প্রকারের ভেষজ গুণ সম্পন্ন গাছও এখানে জন্মায়। আপনি না জানলেও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবেন। নির্দ্বিধায় পর্যটকদের আপন করে নেন পাহাড়ের কোলে বাস করা এই সরল মানুষগুলি।
- সবুজে ঘেরা পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে যোগাযোগ স্থাপনের একটি কাঠের সেতু রয়েছে। যা আপনাকে মুগ্ধ করবে।
- বিদ্যাংয়ের একটি ভিউ পয়েন্ট রয়েছে যেখান থেকে দার্জিলিং (Darjeeling) দেখলে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন।
- চাইরে রেলি নদীর পাশে বসে নুড়ি-কাঁকড় নিয়ে খেলাও জুড়ে দিতে পারেন।
কীভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন?
নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) থেকে গাড়িতে করে কালিম্পং চলে যান। সেখান থেকে ১৫ কিলোমিটার পথ গেলেই বিদ্যাং। চাইলে ট্রেকও করতে পারেন। পাহাড়ি রাস্তা আপনার মন ভুলিয়ে দেবে। আধুনিকতার ছোঁয়া এখনও বিদ্যাংয়ের গায়ে লাগেনি। একটি মাত্র রিসর্ট রয়েছে সেখানে। সেখানে স্থান না পেলে আগে থেকে হোম স্টে’র ব্যবস্থা করে যাবেন।