সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: জঙ্গলমহল পুরুলিয়ার পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নয়া পদক্ষেপ নিল বনদপ্তর। জঙ্গলের অ্যাডভেঞ্চারের মধ্যেই আরও অন্যরকম আনন্দ। আকাশ দেখতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে টেলিস্কোপ বসানো হয়েছে পুরুলিয়া বনবিভাগের মাঠা বনাঞ্চলে। এই বনাঞ্চলের অধীনেই পারডিতে 'নাইট স্কাই ওয়াচিং'-এর পরিকল্পনা রয়েছে পুরুলিয়া বনবিভাগের। তবে ওই প্রকল্পের অনুমোদন এখনও না আসায় ওই কাজ শুরু করা যায়নি। পুরুলিয়ার বনবিভাগ সূত্রে খবর, সম্ভবত চলতি মাসেই ওই প্রকল্পে সবুজ সংকেত মিলবে।
মাঠা বনাঞ্চলের পারডিতে 'নাইট স্কাই ওয়াচিং'-এর ব্যবস্থা। নিজস্ব ছবি।
বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রশাসনও সোনকূপি এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে রাতের আকাশ দেখাতে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। রাজ্যের পঞ্চম অর্থ কমিশনের ৫৮ লক্ষ ও পঞ্চায়েত সমিতির ৭ লক্ষ টাকায় ৬৫ লক্ষ অর্থ দিয়ে নক্ষত্রপুঞ্জে ভরা আকাশ দেখাতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত সমিতির ৫ লক্ষ টাকায় প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের পঞ্চম অর্থ কমিশনের অনুমোদন মিললেই এই কাজ শুরু করে দেবে বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রশাসন।
বাঘমুণ্ডির বিডিও আর্য তা বলেন, "এই প্রকল্পে যেহেতু একটি বড় অর্থ রাজ্যের পঞ্চম অর্থ কমিশনের। তাই প্রকল্প রূপায়ণে একটু দেরি হচ্ছে।” বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রশাসনের এই প্রকল্পে মোট তিনটি টেলিস্কোপ থাকবে। তার মধ্যে একটি থাকবে স্বয়ংক্রিয়। স্বয়ংক্রিয় টেলিস্কোপ রিমোট দ্বারা চালিত হবে। সঙ্গে থাকবে টেলিস্কোপ ডোম। চোখে চশমা পরিয়ে রাতের আকাশ দেখানো হবে পর্যটকদের। বাঘমুণ্ডির মাঠা বনাঞ্চলের কার্যালয়ের ভিতরে যে একটি টেলিস্কোপ রয়েছে তাতেই বেশ ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। ট্রেকিং করতে আসছেন যাঁরা, তাঁরাও টেলিস্কোপে চোখ রেখে দেখে নিচ্ছেন রাতের আকাশ।
বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রশাসনের এই প্রকল্পে মোট তিনটি টেলিস্কোপ থাকবে। নিজস্ব ছবি।
পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, "মাঠা বনাঞ্চলের পারডি জলাধার এলাকাতেও আমরা রাতের আকাশ দেখানোর একটা পরিকল্পনা নিয়েছি। সেই মোতাবেক প্রকল্প রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তার আর্থিক অনুমোদন শীঘ্রই মিলবে।"
