সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপরিচিত ব্যক্তিদের দিয়ে নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণ করাতেন স্বামী! গোটা বিশ্ব শিউরে উঠেছে ফ্রান্সের ঘটনায়। এবার সামনে এল সেই নির্যাতিতার বয়ান। তাঁর অসহায় উক্তি, ''আমাকে আস্তাকুঁড়ের মতো ব্যবহার করা হয়েছিল।''
অভিযুক্ত ৭১ বছরের ডমিনিক পির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর ৭২ বছরের স্ত্রীকে অচেনা ব্যক্তিদের দিয়ে ধর্ষণ করাতেন। নিজে বসে বসে সেই ধর্ষণের দৃশ্য দেখতেন এবং উপভোগ করতেন। এমনকী, করতেন ভিডিও রেকর্ডিংও। সেকথা বলতে গিয়ে ফরাসি বৃদ্ধা জানাচ্ছেন, ''ওরা আমাকে একটা পরিত্যক্ত পুতুলের মতো আচরণ করত। একটা আস্তাকুঁড়ের মতো। আমার কোনও পরিচয়ই ছিল না। আমার মনেই হয়নি কখনও নিজেকে আবার গড়ে তুলতে পারব। আমার সব কিছু চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। বর্বরতার দৃশ্য, ধর্ষণের দৃশ্যগুলিই ছিল।'' তাঁর দাবি, অন্তত ৬ বার তাঁকে ধর্ষণ করেছেন এমন এক ব্যক্তি যাঁর এইচআইভি ছিল। পরে তাঁরও এইচআইভির সংক্রমণ ধরা পড়ে। ২০১১ থেকে ২০২০- সময়কালের মধ্যেই তাঁকে এই নির্যাতন সইতে হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন নির্যাতিতা।
[আরও পড়ুন: নেকড়ে আতঙ্কে স্তব্ধ জনজীবন, ‘নরখাদক’ মারতে ১৮ শার্পশুটার উত্তরপ্রদেশে]
নির্যাতিতার কথায়, মাদকে এত বেশি ডোজ দেওয়া হত যে তিনি কিছু বুঝতেই পারতেন না। অন্য একটি মামলার তদন্তে নেমে পুলিশই বিষয়টি আবিষ্কার করে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ডমিনিকের উপর প্রথম নজর পড়ে পুলিশের। শপিং সেন্টারে তিন মহিলার স্কার্টের নিচে ক্যামেরা রাখার ঘটনায় আটক হন তিনি। সেই মামলার তদন্তে নেমে ডমিনিকের বাড়ির কম্পিউটার ঘাঁটতে গিয়ে হাজার হাজার ছবি এবং বেশ কিছু ভিডিও হাতে আসে। থ হয়ে যান অফিসাররা। সেকথা বলতে গিয়ে পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নির্যাতিতা বলছেন, ''পুলিশ আমার জীবন বাঁচিয়েছে।'' জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী ও আরও ১৪ জন নিজেদের দোষ কবুল করেছেন। যদিও আরও ৩৫ জন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, নির্যাতিতার সম্মতি নিয়েই তাঁর সঙ্গে সঙ্গম করেছেন তাঁরা। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।