সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: সামনেই ইদ। সপরিবারে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যা ও তাঁর স্বামী। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের ছেলেও। সেই সময় গাড়িতে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী জাহিদুল শেখের। অভিযোগের তির কংগ্রেসে এবং সিপিএমের দিকে। তবে বিরোধীদের পালটা অভিযোগ গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই খুন।
জাহিদুলকে বাঁচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন স্থানীয় এক যুবক। তাঁর নাম আদ্রুপ শেখ। তিনি কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত হয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যা সাগিরা বিবি ও তার পুত্র রাকিব শেখ। আহতদের শক্তিনগর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিনই খুলছে মালবাজারের চা বাগান, লক্ষ্মীবারেই লক্ষ্মীলাভ শ্রমিকদের]
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারকে নিয়ে নাকাশিপাড়া (Nakashipara) বেথুয়াডহুরী থেকে ঘুনি এলাকায় বাড়ি দিকে যাচ্ছিলেন। চার চাকা গাড়িতে ছিলেন তাঁরা। গাড়িতে ছিলেন পঞ্চায়েত সদস্যা, তাঁর স্বামী ও পুত্র এবং স্থানীয় দুই বাসিন্দা। ফেরার পথে রাস্তায় খেজুর গাছ ফেলে গাড়ি আটকায় দুষ্কৃতিরা। গাড়ি থামতেই দরজা খুলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলকে কোপ মারতে থাকে তারা। জাহিদুলকে বাঁচাতে গেলে আহত হন প্রত্যেকে।
[আরও পড়ুন: ‘দাদাগিরি এখনও শুরুই করিনি’, ভোটের পর ‘বাংলাদেশে পাঠানো’র নিদান দিলীপের]
রাজনৈতিক কারণেই এই খুন বলে দাবি পরিবারের। পঞ্চায়েত মেম্বার বলেন, "এলাকায় এক ব্যক্তির সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। সম্প্রতি তাঁকে থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় নিয়ে আসাতেই কংগ্রেস-সিপিএম জোটের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে।" কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয় , এই খুনের সঙ্গে তাঁরা কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলেই এই খুন। তদন্ত করলেই সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে দাবি কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।