ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: লরির ধাক্কায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর মেয়ে এবং এক পেট্রল পাম্প মালিকের মৃত্যু। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার লরিচালক। বীরভূমের পাড়ুই থানার কেশবপুর মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগেল হোসেন পরিবারের সঙ্গে দুর্গাপুর গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে ইলামবাজার হয়ে ফিরছিলেন বোলপুরে। একটি গাড়িতে ছিল সাইগেলের ৩ বছরের মেয়ে ও এক পেট্রল পাম্প মালিক, মাধব দাস। অন্যগাড়িতে ছিলেন সাইগেল, তাঁর বড় মেয়ে ও স্ত্রী। ইলামবাজার এলাকায় ডাম্পারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় অনুব্রতর দেহরক্ষী সাইগেলের একটি গাড়ির। দুমড়ে মুচড়ে যায় সেটি। বিকট শব্দ পেয়ে ছুটে যান স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি থেকে উদ্ধার করে সাইগেলের ছোট মেয়ে ও মাধব দাসকে। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। গুরুতর জখম ওই গাড়ির চালকও।
[আরও পড়ুন: তীব্র দাবদাহে এগিয়ে এল গরমের ছুটি, দিনক্ষণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
পুলিশ এই ঘটনায় সানোয়ার খান নামে এক লরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে। পাড়ুই থানার কেশবপুর মোড় থেকে পাকড়াও করে তাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি লরিকে ওভারটেক করে এগোচ্ছিল সাইগেলের গাড়ি। সেই সময় সামনে দাঁড়িয়ে ছিল একটি লরি। তাতেই ধাক্কা লাগে সাইগেলের গাড়ির।
উল্লেখ্য, এর আগে দু’বার সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে তলব করেছিল। হাজিরাও দেন সাইগল হোসেন। তারপরই এই দুর্ঘটনা। সাইগলের গাড়ি দুর্ঘটনার বিষয়টির নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটি আদৌও দুর্ঘটনা কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমাদের সূত্র মারফত খবর ছিল অনুব্রত মণ্ডল দেহরক্ষীর মোবাইল ফোন মারফৎ পুলিশ-সহ অন্যান্যদের নির্দেশ দিতেন। তিনিই দুর্ঘটনার শিকার হলেন। এটা দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পনা?” তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই অভিযোগকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, “দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা অনুচিত।”