shono
Advertisement

Breaking News

কৃষক আন্দোলনের দখল নিয়েছে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’, বিস্ফোরক অভিযোগ রবিশংকর প্রসাদের

কৃষক আন্দলনের রাশ এখন দেশবিরোধীদের হাতে, বলছে কেন্দ্র।
Posted: 10:17 AM Dec 12, 2020Updated: 04:10 PM Dec 12, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ (Tukde-tukde gang)। আবারও জাতীয় রাজনীতিতে উঠে এল এই শব্দবন্ধ। দিল্লির কৃষক আন্দোলনের (Farmers’ protest) দখল নিয়ে নিয়েছে এই ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’রা। আর তার সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণও মিলেছে। শুক্রবার এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। আর সেই কারণেই সরকার ও কৃষকদের মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ হচ্ছে না বলেই দাবি তাঁর।

Advertisement

শনিবার ১৭ দিনে পা রেখেছে কৃষক আন্দোলন। ইতিমধ্যেই টিকারি সীমান্তে শারজিল ইমাম, উমর খালিদ, গৌতম নাভলাখা-সহ দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্তদের মুক্তির দাবিতে পোস্টার দেখা গিয়েছে। সেই ছবি ভাইরালও হয়ে গিয়েছে। কয়েক জন কৃষক নেতা দাবি করেছেন, ওঁদের ছেড়ে দেওয়া উচিত। আর তা থেকেই বিতর্ক অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে। কেবল রবিশংকর প্রসাদই নন, নরেন্দ্র সিং তোমার ও প্রকাশ জাভড়েকরের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও একই অভিযোগ করেছেন।

[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি সমর্থকরাই সবচেয়ে বেশি গরুর মাংস রপ্তানি করে’, বিস্ফোরক সিদ্দারামাইয়া]

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে এক আরটিআইয়ের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছিল ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ সম্পর্কে কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। এবার উলটো সুর শোনা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের তরফ থেকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, কৃষকদের অনেক দাবি ইতিমধ্যেই মেনে নিয়েছে সরকার। কিন্তু কৃষি আইনের পাশাপাশি ওই নেতাদের মুক্তির দাবিও জানাচ্ছেন কৃষকরা। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁরা শারজিল ইমামের মতো ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিও জানাচ্ছেন। আমার মনে হয়, কৃষক ইউনিয়নের হাত থেকে এখন প্রতিবাদের রাশ দেশবিরোধী সংগঠনগুলির হাতে চলে গিয়েছে।’’ একই ভাবে নরেন্দ্র সিং তোমারও প্রশ্ন তুলেছেন, এই ধরনের পোস্টারের সঙ্গে কৃষক আন্দোলনের কী সম্পর্ক।

[আরও পড়ুন: অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের জের, গোয়া সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা বম্বে হাই কোর্টের]

এদিকে এদিনই ‘ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন’-এর নেতা রাকেশ টিকাইত উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দোলনের সঙ্গে দেশবিরোধী যোগের অভিযোগকে। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় গোয়েনা বাহিনীকে বলছি, পারলে তাদের ধরুন। যদি কোনও নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য আমাদের আশপাশে ঘুরতে দেখেন, জেলে ভরে দিন। আমরা যদি এমন কাউকে পাই আমরাই তাদের এখান থেকে বের করে দেব।’’

প্রসঙ্গত, ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ শব্দবন্ধটির জন্ম গেরুয়া শিবিরেই। জেএনইউয়ের বিরুদ্ধে বরাবরই বিজেপি অভিযোগ করে এসেছে এখানে ভারতকে টুকরো করার চক্রান্ত করা হয়। সেই কারণেই এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ নামে ডাকে তারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement