সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিষয়টিকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন? বন্ধুত্বের প্রতিদান! নাকি অন্য কিছু…! ভয়াবহ ভূমিকম্পে এক প্রকার গুঁড়িয়ে গিয়েছে তুরস্ক। ৫০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘটনার পরপরই দ্রুত বিপুল ত্রাণ নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিল ভারত। ভূমিকম্পের বিপদের সময় তুরস্কের পাশে দাঁড়াতে শুরু হয়েছিল ‘অপারেশন দোস্ত’। যাকে দরাজ সার্টিফিকেটও দিয়েছিল তুরস্ক।
সেই ‘উপকারের’ এমনই প্রতিদান দিল তুরস্ক (Turkey), যা নিয়ে অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি। কারণ, অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন বা ওআইসি-তে জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কথা তুলল তুরস্ক। ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশগুলির যৌথ মঞ্চ ওআইসি। এই মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা বরাবর নাপসন্দ ভারতের। তাই তুরস্কের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভারত। দিল্লি আগেও জানিয়েছেন, ওআইসি বরাবর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায়, যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
[আরও পড়ুন: রামায়ণ, গীতা শেখানো হবে গর্ভস্থ শিশুদের, ‘গর্ভ সংস্কার’ প্রকল্প শুরু আরএসএসের]
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধি সীমা পূজানি বিষয়টির প্রসঙ্গ তুলে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই সংক্রান্ত বিষয়ও ভারতের অভ্যন্তরীণ। পাকিস্তান ভারতের জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। ওআইসি তাদের সদস্য পাকিস্তানকে বলুক রাষ্ট্র-সমর্থিত সন্ত্রাস বন্ধ করে ভারতকে দখল করা কাশ্মীরের অংশ ফিরিয়ে দিতে-পরামর্শ দিয়েছিল ভারত।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে ভূমিকম্পের পরই ৭ ফেব্রুয়ারি মোদির নির্দেশে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বিশেষ দল তুরস্কে যায়। মোট ৩টি এনডিআরএফের দল গিয়েছিল। পাঠানো হয়েছিল বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের দলকেও। বহু সামগ্রী, সাহায্যের ত্রাণ, মেডিক্যাল বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নিয়ে বায়ুসেনার বিমানে সেনার বিশেষ একাধিক টিম রওনা হয় তুরস্কের উদ্দেশে। প্রায় দু’সপ্তাহ উদ্ধারকাজ চালানোর পর দেশে ফিরে এসেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেই উপকারের মাসখানেকের মধ্যেই তুরস্ক যেন সব কিছু ভুলে গেল।