সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিআরপি কাণ্ডে আরও কড়া পদক্ষেপ করল মুম্বই পুলিশ। এবার গ্রেপ্তার করা হল বার্ক (BARC) বা ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিলের (Broadcast Audience Research Council) প্রাক্তন CEO পার্থ দাশগুপ্তকে। এদিন পুণের রাজগড় থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। এই কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এর কয়েকদিন আগেই বার্কের প্রাক্তন চিফ অপারেটিং অফিসার রামিল রামগড়িয়া–সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এছাড়া রিপাবলিক টিভির CEO বিকাশ খানচন্দানিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে যদিও ১৬ ডিসেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। দু’জনের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের চ্যাটও হাতে আসে পুলিশের।
[আরও পড়ুন: ইসলাম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণের জের, আলিগড়ের যুবককে স্বপরিবারে খুনের হুমকি]
প্রসঙ্গত, অক্টোবরে রিপাবলিক নেটওয়ার্ক-সহ তিনটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে চ্যানেলের টিআরপি (TRP) হেরফের করার অভিযোগ উঠেছিল। খোদ মুম্বই পুলিশের কমিশনার পরমবীর সিং (Param Bir Singh) সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, সর্বভারতীয় ইংরেজি এই সংবাদমাধ্যমটি টাকার বিনিময়ে টিআরপি কিনেছে। মুম্বই পুলিশের কমিশনার দাবি করেছিলেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর প্রচুর মিথ্যে খবর ছড়িয়েছে। সেই মিথ্যে খবর ছড়ানোর তদন্ত করতে গিয়েই উঠে এসেছে এই টিআরপি বাড়িয়ে দেখানোর বিষয়টি। বিজ্ঞাপন বাবদ বেশি অর্থ পেতে টাকা দিয়ে রেটিং বাড়িয়ে দেখানোর এই চেষ্টাকে তিনি ‘জোচ্চুরি’র সঙ্গে তুলনা করেন।
সেই অক্টোবর থেকেই এই মামলার তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)। এর আগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুম্বই পুলিশের দাবি, রিপাবলিক-সহ দুটি স্থানীয় চ্যানেলের বিরুদ্ধে পোক্ত প্রমাণ তাদের কাছে আছে। এই টিআরপি কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর নিজেদের মতো করে পদক্ষেপ করেছে রেটিং সংস্থা BARC-ও। পৃথকভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। রিপাবলিক টিভি অবশ্য শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এর আগে মুম্বই পুলিশের হাত থেকে এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয় তারা। কিন্তু শীর্ষ আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে দেয়।