সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় এক ঘণ্টা তাঁকে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দেয়নি টুইটার (Twitter)। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী (Telecom and IT minister) রবিশংকর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। তিনি জানিয়েছেন, টিভি বিতর্কের ভিডিও পোস্ট করার কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ করেছে টেক জায়ান্ট। আমেরিকার ‘ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট অ্যাক্ট’ প্রয়োগ করেই তাঁর অ্যাকাউন্টটি প্রায় এক ঘণ্টার জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি তাঁকে।
কিন্তু টুইটারের এই পদক্ষেপ কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল আইন মেনে করা হয়নি বলেই দাবি তাঁর। তিনি জানিয়েছেন, টুইটারের এই পদক্ষেপের ফলে নতুন ডিজিটাল আইনের ৪(৮) ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে। ওই নিয়মানুযায়ী, এমন পদক্ষেপ করার আগে ব্যবহারকারীকে সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাতে হবে।
[আরও পড়ুন: Jio-কে টেক্কা দিতে এবার আকর্ষণীয় প্রি পেড প্ল্যান ঘোষণা করল Vi, জেনে নিন খুঁটিনাটি]
প্রসঙ্গত, দেশের নয়া ডিজিটাল আইন নিয়ে টুইটার-সহ সমস্ত শীর্ষস্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা ও মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম প্রতিবাদ করলেও বাকিরা কার্যত কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে নিয়েছে। একমাত্র টুইটারের সঙ্গেই জারি রয়েছে সংঘাত। ইতিমধ্যেই ভারতে আইনি রক্ষাকবচও হারিয়েছে এই মাইক্রোব্লগিং সাইট।
গত সপ্তাহেই সংসদের তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে তলব করা হয়েছিল টুইটারকে। শশী থারুরের (Shashi Tharoor) নেতৃত্বে প্রায় দেড় ঘণ্টা টুইটারের প্রতিনিধিদের একপ্রকার জেরাই করেন কমিটির সদস্যরা। এই ব্যাপারে অগ্রণী ছিলেন কেন্দ্রের শাসক বিজেপির (BJP) সাংসদরা।
দেশের তথ্য প্রযুক্তি আইন টুইটার কেন মানছে না, তা নিয়ে কড়া প্রশ্ন করা ছাড়াও তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয় দেশীয় আইনের ঊর্ধ্বে নয় টুইটারের নিজস্ব নীতি। কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদও আগেই টুইটারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এবার তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িক ভাবে বন্ধ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন মোড় নিল কেন্দ্র-টুইটার বিতর্ক।