অর্ণব আইচ: বাঁশদ্রোণি শুটআউটের (Bansdroni shout out) ঘটনায় বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ। ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই গ্রেপ্তার কুখ্যাত দুষ্কৃতী নান্টির ছেলে শুভ ঘোষ। ধৃত অপর যুবকের নাম কার্তিক দাস। ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত ছিল কি না, খুনের চেষ্টার নেপথ্যের কারণ কী, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বাঁশদ্রোণির সোনালি পার্ক এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ দেবনাথ। প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিষয়ে দিন কয়েক ধরেই প্রদীপ দেবনাথের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী নান্টি ঘোষের দলবলের। বৃহস্পতিবার রাতে প্রদীপ দেবনাথের বাড়ি লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage) দেখা যায়, বাড়ির কোলাপসিবল গেটের ফাঁক দিয়ে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এসব দেখে প্রদীপবাবুর বাড়িতে থাকা অভিষেক মুখোপাধ্য়ায় নামে এক যুবক দেওয়ালের আড়ালে আত্মগোপনের চেষ্টা করেন। কিন্তু গুলি তাঁর হাতে গুলি লাগে। বর্তমানে হাসপাতালে ভরতি তিনি।
[আরও পড়ুন: WB By Election: কোভিড বিধি মেনেই ভবানীপুর উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলেন মমতা]
ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, গোটা হামলার ঘটনা ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। সেই ফুটেজ হাতে নিয়েই তদন্তে নামে বাঁশদ্রোণি থানা। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে ধরপাকড়ের কাজ শুরু করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের সন্দেহ গিয়ে পড়ে কুখ্যাত দুষ্কৃতী নান্টি ঘোষের দলবলের দিকে।
শুটআউটের ঘটনার তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নান্টি ঘোষের ছেলে-সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাঁশদ্রোণি ক্ষুদিরাম পার্ক এলাকার বাসিন্দা সে। ধৃত কার্তিক দাস টিটাগড়ের বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের কারণেই এই শুটআউট।