সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাশের অযুত নিযুত নক্ষত্রের সমাবেশ মহাকাশপ্রেমীদের কাছে এক চির বিস্ময়ের আধার। এবার ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার গায়া স্পেস টেলিস্কোপ সেখানে খুঁজে পেল দুই আদিম তারা ঝাঁককে। তাদের নাম রাখা হয়েছে শিব ও শক্তি। যাদের দেখা মিলেছে আমাদের ছায়াপথ অর্থাৎ আকাশগঙ্গাতেই। মনে করা হচ্ছে, আকাশগঙ্গা সৃষ্টির প্রাথমিক উপাদান হতে পারে এগুলি। সব মিলিয়ে পৃথিবী তথা ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির জট খুলতে সাহায্য করবে শিব (Shiva) ও শক্তি (Shakti)।
আকাশগঙ্গার সুদূর অতীতে ১২০০ কোটি বছর আগে ওই নক্ষত্রের ঝাঁকগুলির জন্ম বলে মনে করা হচ্ছে। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমি তথা এমপিআইএর বিজ্ঞানী খ্যাতি মালহান এই গবেষক দলের প্রধান। তিনি এমন এক আবিষ্কারে অভিভূত। জানাচ্ছেন, ”ওই তারাদের জন্মের পর থেকে এই দীর্ঘ সময়ে আকাশগঙ্গা বার বার বদলেছে। আমরা যে এখনও ওই ঝাঁকগুলিকে আলাদা করে চিহ্নিত করে পেরেছি এটা সত্যিই দারুণ। গায়া আমাদের এই তথ্য দিয়েছে।” তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে আরও গবেষণা চালানো হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সব দিকই।
[আরও পড়ুন: বন্দে ভারতের পর এবার বুলেট ট্রেন, হাই স্পিড ট্রেন নিয়ে বড় আপডেট রেলমন্ত্রকের]
কত বড় ওই দুই তারার ঝাঁক? মনে করা হচ্ছে, এক একটি ঝাঁকে ১ কোটি ‘সূর্য’ রয়েছে! দুই ঝাঁকেরই অবস্থান আকাশগঙ্গার একেবারে ‘হৃদয়ে’। আর এও জানা যাচ্ছে, ওই ঝাঁকের সবচেয়ে ‘বয়স্ক’ নক্ষত্রদের জন্ম এমনকী আকাশগঙ্গার (Milky Way galaxy) ডিস্কের জন্মের আগে!
এবিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে অন্যতম গবেষক হান্স-ওয়াল্টার রিক্স জানাচ্ছেন, ”এই নক্ষত্রগুলি এতই প্রাচীন যে এদের মধ্যে অধিকাংশ ভারী ধাতব উপাদানই নেই, যেগুলি ব্রহ্মাণ্ডের পরবর্তী পর্যায়ে তৈরি হয়েছিল। একে তাই আমরা আকাশগঙ্গার ‘প্রাচীন হৃদয়’ বলে উল্লেখ করতে চাই।”