সুকুমার সরকার, ঢাকা: দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গণধোলাই দেওয়া হল একটি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে। এরপর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় উত্তেজিত জনতা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ায়। অভিযুক্ত ওই অধ্যক্ষের নাম আবুল খায়ের বেলালী। তার নামে দুটি মামলা দায়ের করে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন- আত্মরক্ষার অজুহাতে এনকাউন্টার নয়, সরকারকে সতর্ক করল ঢাকা হাই কোর্ট]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নে বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দুয়ার একটি মেয়েদের মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ চালাচ্ছিল সে। স্থানীয় মেয়েদের পাশাপাশি ওই মাদ্রাসায় বেশ কয়েকজন অনাথ ছাত্রীও পড়াশোনা করে। শুক্রবার সকাল ন’টার সময় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত। তারপর তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এর ফলে যন্ত্রণায় চিৎকার করতে শুরু করে ওই মেয়েটি। সেই চিৎকার শুনে ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন আশপাশের লোকজন। তারপর অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে স্কুলের একটি ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ এলে অভিযুক্তকে তাদের হাতে তুলে দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে কেন্দুয়া থানায় গিয়ে অভিযুক্তের নামে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মেয়েটির কাকা।
এদিকে, ওই শিক্ষককে আটক করার খবর পেয়েই তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে আরেক ছাত্রী। এ বিষয়ে তার মা পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগও দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, গত মঙ্গলবার সন্ধেয় মেয়েটিকে জোর করে ধর্ষণ করে আবুল খায়ের বেলালী। ঘটনাটির কথা কাউকে জানালে প্রাণে মারার হুমকিও দেয়। ভয় পেয়ে কাউকে কিছু জানায়নি সে। কিন্তু, শুক্রবার বিকেলে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়েছে শুনে সবকথা খুলে বলে। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
[আরও পড়ুন- লাইফ সাপোর্টে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এরশাদ, নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিঙ্গাপুর]
এপ্রসঙ্গে কেন্দুয়া থানার ওসি মহম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, “ধৃতকে জেরা করে ভয়ংকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সময় শিশুদের ডেকে নিজের ঘরে এনে শরীর টেপানোর কথা বলে এই কাণ্ড করত সে। পরে তাদের হাতে কোরান শরিফ ধরিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানানোর শপথও করাত।”
The post দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই জনতার appeared first on Sangbad Pratidin.