বাবুল হক, মালদহ: খেলা করছিল দুই ভাই। খেলতে খেলতে কখন যে চৌবাচ্চার কাছে চলে যায়, তা খেয়ালও করেনি কেউ। আর তারই মর্মান্তিক পরিণতির সাক্ষী পুরাতন মালদহের (Malda) নলডুবি। জলে ডুবে মৃত্যু দুই শিশুর। সন্তানদের হারিয়ে চোখের জলে ভাসছেন বাবা ও মা।
করণ তাঁতি এবং কিরণ দেবী বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। মাসতিনেক আগে পুরাতন মালদহের নলডুবি এলাকায় ইটভাটার শ্রমিকের কাজে আসেন। সঙ্গে দুই ছেলে – বছর ছয়েকের ঋত্বিক এবং পাঁচ বছর বয়সি রোশন। অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও ওই দম্পতি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এদিকে, বিকেলে খেলা করছিল ওই দুই খুদে। তবে সন্ধে হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি দু’জনে। ছেলেদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ পর চৌবাচ্চার ভিতর থেকে দু’জনের খোঁজ পাওয়া যায়।
[আরও পড়ুন: দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ নামল ৫০ হাজারের নিচে, ভোটপ্রচারে আরও ছাড় কমিশনের]
সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে জানান। দুই শিশুর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। দুই সন্তানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বাবা-মা। কঠিন বাস্তব মেনে নিতে পারছেন না দু’জনেই।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়ার সীতানগরেও ঠিক একই ঘটনা ঘটে। খেলতে গিয়ে নদীতে নেমে প্রাণহানি হয় দু’জনের। তার আগে রানিনগরের আড়লপাড়ায় শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল তিন কিশোরের। ওই দিন সন্ধেয় ইসলামপুরের পাহাড়পুরে বাড়ির সামনে গর্তে জমা জলে মৃত্যু হয় দু’বছরের এক শিশুকন্যার। সেসব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মালদহেও একই বিপত্তি। প্রাণ কাড়ল দুই শিশুর।