সৌরভ মাজি, বর্ধমান: আলোচনা চলার সময় কথা কাটাকাটি, বিবাদ। সেখান থেকে একেবারে হাতাহাতিতে জড়ালেন বর্ধমানের (Burdwan) ইউনিভির্সিটি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (UIT) শিক্ষক ও কর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরের এই ঘটনায় জখম হয়েছেন কয়েকজন শিক্ষক। এই বিবাদে জড়িয়ে পড়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কয়েকজন পড়ুয়াও। পরে বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে কলেজেরই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। এমনকী এক শিক্ষিকার সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয় বলেও অভিযোগ।
ইউআইটি (University Institute of Technology) সূত্রে জানা গিয়েছে, সামনেই পরীক্ষা। অনেক পড়ুয়া এখনও ফি জমা দেয়নি। পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিল আপ চলছে। যারা ফি জমা দেয়নি, মানবিকতার খাতিরে তাদের ফর্ম ফিল আপ করতে দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এদিন ভারচুয়াল মিটিং করেন অধ্যক্ষ অভিজিৎ মিত্র। শিক্ষকরা কলেজেই ছিলেন। অধ্যক্ষ বাইরে থাকায় অনলাইনে এই বৈঠক করেন। সেই সময় শিক্ষকদের দু’ পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। তাতে যোগ দেয় কলেজের দুই শিক্ষাকর্মীও। সেই সময় অধ্যক্ষ গোষ্ঠীর দুই শিক্ষককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ শিণ্ডের, কোন অঙ্কে মসনদে ‘বিদ্রোহী’ শিব সেনা নেতা]
এক শিক্ষিকার সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই সময় পড়ুয়াদের একাংশ দুটি পক্ষ নেয়। তাদের মধ্যেও বিবাদ বেঁধে যায়। পার্থপ্রতিম সরকার ও অপূর্ব ঘোষ নামে দুই শিক্ষক জখম হয়েছেন। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। তাঁদের জামা-প্যান্টও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। শিক্ষকরা বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
[আরও পড়ুন: প্রতারণা করে সারদা থেকে টাকা নিয়েছে অধিকারী পরিবার, ফের বিস্ফোরক সুদীপ্ত সেন]
বিষয়টি বিস্তারিত জানতে অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে বলেন, “গত এক বছর ধরে কলেজে অশান্তি পাকাচ্ছে কয়েকজন কর্মী। অমিয় ঘোষ ও প্রীতম দে নামে দুই কর্মী এদিন ওই শিক্ষকদের মারধর করেছে। আগেও তারা নানাভাবে হেনস্থা করেছে আমাকে।” এই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে এর আগেও কলেজের শিক্ষক ও অধ্যক্ষকে নানাভাবে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবারের ঘটনাতেও কাঠগড়ায় তাঁরাই। তবে এদিন অমিয়বাবু ও প্রীতমবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।