সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বানচাল ভারতকে রক্তাক্ত করার পরিকল্পনা। রাজধানী দিল্লিতে গ্রেপ্তার পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammad) দুই জঙ্গি।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঝুঁকি এড়াতে বাতিল হতে পারে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন![]
সূত্রের খবর, দিওয়ালিতে রাজধানীর একাধিক জায়গায় বড়সড় নাশকতার ছক ছিল জইশের। পাশাপাশি, একাধিক ভিভিআইপি-ও ছিল তাঁদের নিশানায়। কিন্তু দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের হতে গ্রেপ্তার হয় আবদুল লতিফ মীর ও মহম্মদ আশরাফকে। দুজনই জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। একজনের বাড়ি কুপওয়ারা, অন্যজনের বারামুল্লা। ধৃতদের বয়স আনুমানিক ২০ থেকে ২২ বছর। এই গ্রেপ্তারির ফলে ভেস্তে যায় জঙ্গি সংগঠনটির পরিকল্পনা। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের ডিসিপি সঞ্জীব যাদব জানান, সরাই কালে খান অঞ্চলের মিলেনিয়াম পার্কে জঙ্গিদের জন্য ফাঁদ পাতে পুলিশ। সেখানেই রাত ১০টা নাগাদ ধরা পড়ে ২ জইশ জঙ্গি। দুজনের কাছ থেকে পিস্তল ও তাজা গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, ভারতের (India) হামলা চালাতে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে আইএসআই। রাওয়ালপিণ্ডির নির্দেশে এবার ‘ভারচুয়াল যুদ্ধে’ই নামছে লস্কর-ই-তইবা (Lashkar-e-Taiba)। এখন সাইবার নাশকতার দিকে বেশি নজর পাকিস্তানের এই জঙ্গি সংগঠন। সেই কারণেই পাকিস্তানে বসেই ‘ভারচুয়াল’ পদ্ধতিতে সদস্য নিয়োগ করছে লস্কর। সরাসরি নাশকতা ছাড়াও সাইবার নাশকতা করে একের পর এক সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করার ছক কষছে এই জঙ্গি সংগঠন। এমনকী, ব্যাংকের সাইট হ্যাক করার ছকও রয়েছে তাদের। তার জন্য লস্কর সাহায্য নিচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। এমনকী, পিছনে চিনের (China) মদত রয়েছে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। বরং এমন তথ্যও গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে যে, বিস্ফোরণের মতো নাশকতার থেকে সাইবার নাশকতাকে নিজেদের পক্ষে বেশি নিরাপদ মনে করছে লস্কর। তাই এই নাশকতাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জঙ্গিরা। আর নিরাপদ হওয়ার কারণেই ভার্চুয়াল নিয়োগের উপরই জোর দিচ্ছে এই জঙ্গি সংগঠন।