সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসা করাতে গিয়ে দু’টি কিডনি চুরি গেল এক রোগিণীর। স্ত্রীর অসুস্থতার সময়ে সমস্ত দায়িত্ব ছেড়ে পালিয়ে গেলেন রোগিণীর স্বামীও। তিন সন্তানকে নিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন সুনীতা নামে বিহারের (Bihar) ওই মহিলা। অসুস্থ শরীরে কীভাবে তিনজনের দেখাশোনা করবেন, এই চিন্তায় আকুল তিনি। প্রসঙ্গত, ডাক্তার সেজে দুই ব্যক্তি অস্ত্রোপচার করার নামে সুনীতার দু’টি কিডনি বের করে নেয়। তারপর একটি হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করে পালিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত।
ঠিক কী ঘটেছিল? সুনীতা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জরায়ুতে সংক্রমণের সমস্যা ধরা পড়ে। একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি হন। অস্ত্রোপচারের সময়ে ডাক্তার তাঁর দু’টি কিডনি বের করে নেন। তারপর সুনীতাকে একটি সরকারি হাসপাতালে ভরতি করে পালিয়ে যায় ডাক্তার-সহ দুই অভিযুক্ত। দুই কিডনি হারিয়ে প্রায় মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে সুনীতা। দু’দিন অন্তর তাঁর ডায়ালিসিস করতে হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: গোরক্ষনাথ মন্দিরে হামলার ঘটনায় দোষী মুরতাজাকে মৃত্যুদণ্ডের দিল আদালত]
এহেন পরিস্থিতিতে সুনীতাকে নিজের কিডনি দিতে তৈরি ছিলেন তাঁর স্বামী আকলু রাম। কিন্তু ব্লাড গ্রুপ ম্যাচ না করায় কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায়নি। তারপরেই মতবিরোধ হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। আকলু সাফ জানিয়ে দেন, অসুস্থ সুনীতার পাশে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তাই পরিবার ছেড়ে চলে যাবেন তিনি। তিন সন্তান ও অসুস্থ স্ত্রীকে ছেড়ে বেপাত্তা হয়ে যান আকলু।
সরকারি হাসপাতালে শুয়ে সুনীতা বলেছেন, “আমি তো মৃত্যুর দিন গুনছি। কিন্তু এখানে তো আমার কোনও দোষ নেই। আমার পরে তিন সন্তানের কী হবে? ওদের কে দেখবে? এখন আমার কাজ করার ক্ষমতা নেই তাই আমার স্বামী ওদের দায়িত্ব নিতে চাইছে না।” হাসপাতালের তরফে একাধিকবার কিডনি প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি।
অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় পুলিশ। তাদের তরফে জানা গিয়েছে, শুভকান্ত ক্লিনিক নামে এক নার্সিংহোমের প্রধান ছিলেন পবন। এক চিকিৎসকের সঙ্গে একজোট হয়ে সুনীতার কিডনি চুরি করেছিল সে। আপাতত গ্রেপ্তার করা হয়েছে পবনকে।
[আরও পড়ুন: ‘সুপ্রিম কোর্টের অমূল্য সময় নষ্ট হবে’, বিবিসির তথ্যচিত্র সম্প্রচার মামলায় মন্তব্য রিজিজুর]