রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মনীশ শুক্লা হত্যা প্রসঙ্গে এবার শাসকদলের পাশাপাশি সিআইডিকেও (CID) নিশানা করলেন সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। ‘টাকা দিয়ে বিজেপির দাপুটে নেতা মনীশকে খুন করিয়েছে তৃণমূল’, অভিযোগ তাঁর। ঘটনার নেপথ্যে পুলিশেরও বড়সড় ভূমিকা রয়েছে বলেই দাবি বিজেপি সাংসদের।
মনীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। গোটা ঘটনার পিছনে শাসকদলের নিবিড় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই প্রথম থেকে দাবি করছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির দপ্তর থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অর্জুন সিং। সেখানেই শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। বলেন, “যে দু’জন গ্রেপ্তার হয়েছে তারা তৃণমূল কর্মী নয়, নেতাই বলব। সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে মানে পুরো বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যে কায়দায় খুন হয়েছে তাতে শুধু ক্রিমিনাল নয়, পুলিশেরও যোগ রয়েছে। সেটাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে সিআইডি। যে দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে। তৃণমূল গুন্ডা ও পুলিশের যৌথ অপারেশনে এই খুন। নাইন এম এম কার্বাইন বা তার চেয়েও কোনও আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে। ৪৭ বা ৫৬ বোরের রাইফেলও ব্যবহার হতে পারে। কোনওভাবেই ৭এম এম নয়।”
[আরও পড়ুন: বাইক থেকে নয়, মণীশ শুক্লাকে গুলি করা হয় চায়ের দোকান থেকে! CCTV ফুটেজে ফাঁস খুনের ছক]
এদিন অর্জুন সিং জানান, সিবিআই তদন্তের দাবিতে আগামিকাল তাঁরা হাই কোর্টে যাবেন। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও যাবেন। দৃঢ় কন্ঠে এদিন তিনি বলেন, “পুলিশ অফিসার কারা যুক্ত তখন সেই নাম আমরা দেব। পুলিশের সরাসরি যোগ ছিল। সেই প্রমাণ আদালতে দেব।” এরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ। বলেন, “তৃণমূলের দুই চেয়ারম্যান এই খুনের অর্থ দিয়েছে। আমিও ওই জায়গায় মাঝে মধ্যে বসতাম। কালকে আমি থাকলে হয়তো দু’জনেই মরতাম। আবার বেঁচেও যেতে পারতাম। সবটাই পরিকল্পিত ঘটনা।” অর্জুনবাবুর সাফ কথা, এটা কোনওভাবেই ব্যক্তিগত আক্রোশ নয়। গোটা ঘটনায় ভবানী ভবনের যোগ রয়েছে।