সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) অনুরোধেও গলল না বরফ। পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা দিতে এখনও নারাজ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE)। গত নভেম্বর মাস থেকেই পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি।
[আরও পড়ুন: ‘সাদা বাড়ি’ থেকে ট্রাম্পের বিদায়বেলায় ক্ষমা প্রার্থনার বন্যা, তালিকায় ঘনিষ্ঠরাও]
বৃহস্পতিবার দুবইয়ে আমিরশাহীর প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুমের সঙ্গে ভিসা ইস্যু নিয়ে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। আলোচনা চলাকালীন ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে একাধিকবার অনুরোধ জানান কুরেশি বলে খবর। কিন্তু তা সত্বেও নিজের অবস্থানেই অনড় থাকেন মাখতুম বলেন পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। এই মর্মে শুক্রবার একটি বিবৃতি জারি করে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, আমিরশাহীর বিদেশমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা বিন জায়েদের সঙ্গে দেখা করেন বিদেশমন্ত্রী কুরেশি। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করা নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে। এছাড়া, আমিরশাহীতে থাকা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতদের অবদানের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, কূটনৈতিক সৌজন্য ও প্রত্যাশিত বিবৃতির আড়ালে পাকিস্তানের উপর আমিরশাহীর ক্ষোভ চাপা থাকছে না। ভিসা সংক্রান্ত বিষয়েই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের পর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (UAE) রোষের মুখে পড়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। বিশেষ করে ইজরায়েল-আমিরশাহী সম্পর্ক নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরূপ মন্তব্যের পর থেকে ইসলামাবাদের উপর খাপ্পা আবু ধাবি। ইমরান খান প্রশাসনের রাতের ঘুম উড়িয়ে ভারত এবং ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক যত ভাল হচ্ছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ততই খারাপ হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর। তার জেরে আমিরশাহীতে বসবাস করা পাক নাগরিকদের রাতের ঘুম উড়েছে। তাঁদের উপর বাড়ছে পুলিশি নজরদারি ও হয়রানি। কর্মসূত্রে কয়েক লক্ষ পাকিস্তানি এখন দুবাই, আবু ধাবি-সহ আমিরশাহীর নানা শহরে বাস করেন। কিন্তু সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার, জেহাদ, সামাজিক অপরাধে বহু পাক নাগরিক জড়িয়ে পড়ায় পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে আমিরশাহী সরকার। প্রতিদিনই কয়েক হাজার পাকিস্তানির ভিসার আবেদন খারিজ করছে আমিরশাহী। বিভিন্ন অপরাধে শুধুমাত্র আবু ধাবির আল সুয়েইহান জেলেই বন্দি ৫ হাজার পাক নাগরিক।