সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেই মঙ্গলের কক্ষপথে মহাকাশযান পাঠিয়ে ইতিহাস রচনা করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE)। এবার ফের নয়া কীর্তি গড়তে চলেছে দুবাই। দীর্ঘ ৬ মাসের জন্য এক আরব মহাকাশচারীকে মহাকাশে (Space) পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নাসার সঙ্গে এই বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর।
তবে এর আগে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর রেকর্ড গড়েছে আরব। ২০১৯ সালে হাজ্জা আল মনসৌরি নামের এক মহাকাশচারী ৮ দিন কাটিয়ে এসেছিলেন অন্তরীক্ষে। কিন্তু এত দীর্ঘ সময়ের জন্য কোনও মহাকাশচারীকে পাঠানোর নজির গড়লে নিঃসন্দেহে মহাকাশ রেসে আরও অনেকটা এগিয়ে যাবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।
[আরও পড়ুন: ‘পশ্চিমী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করাই উদ্দেশ্য’, ইউরোপ সফরের আগে বার্তা মোদির]
এই কৃতিত্ব গড়তে পারলে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ভারত ও অন্য দেশগুলির পরে একাদশ দেশ হিসেবে নজির গড়বে তারা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন রসিদ আল মাকটোরাম এই ঘোষণা করেছেন টুইটারে। তিনি লিখেছেন, ”মহাকাশের ইতিহাসে ১১তম দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী দীর্ঘ সময়ের জন্য কোনও নভচরকে অন্তরীক্ষে পাঠাতে চলেছে। দেশের তরুণদের জন্য গর্বিত।”
তবে ওই মহাকাশচারীর নাম জানানো হয়নি। যদিও সম্প্রতি চার নভোচরকে প্রশিক্ষণ দিতে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে পাঠিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। তাঁরা হলেন মেজর আল মানসৌরি, প্রাক্তন আইটি কর্মী ড. সুলতান আল নায়াদি, হেলিকপ্টার চালক মহম্মদ আল মুল্লা ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নোরা আল মাতরুশি। এঁদের মধ্যে নোরা দেশের প্রথম মহিলা মহাকাশচারী। এখন দেখার এঁদের মধ্যেই কাউকে মহাকাশে পাঠানো হয় কিনা।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলের কক্ষপথে সফলভাবে প্রবেশ করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মহাকাশযান ‘আমাল’। এটাই ছিল পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে কোনও আরব দেশের প্রথম মহাকাশ অভিযান। আর প্রথম অভিযানেই এমন সাফল্যে তৈরি হয়েছিল ইতিহাস। এবার ৬ মাসের জন্য নভোচর পাঠিয়ে নয়া কীর্তি গড়তে উন্মুখ আরব দেশটি।