সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ বছরের কিশোরীর সঙ্গে যারা এমন নির্মম আচরণ করেছে, তাদের গুলি করে মারা অথবা ফাঁসি দিয়ে দেওয়া উচিত। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় এভাবেই গর্জে উঠলেন অভিযুক্তর বাবা।
এই ঘটনায় সমাজের মর্মান্তিক ছবিটাই প্রকট হয়েছে। নির্যাতিতা কিশোরী দোরে দোরে ঘুরলেও তাকে কেউ সাহায্য করেনি। অর্ধনগ্ন ও রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দেখে প্রায় সকলেই এড়িয়ে যায়। তবে শেষপর্যন্ত এক পুরোহিত তাকে সাহায্য করেন। তিনি অর্ধনগ্ন তরুণীকে গায়ের জামা খুলে দেন। তাঁর উদ্যোগেই পুলিশের সাহায্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নির্যাতিতাকে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অটোচালক ভারত সোনিকে। আর এর পরই অভিযুক্ত ছেলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বাবা রাজু সোনি।
[আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে অঝোরে বৃষ্টি, সপ্তাহান্তে পণ্ড হবে পুজোর শপিং?]
তিনি সাফ বলে দেন, “যদি আমার সন্তান নির্যাতিত হত, তাহলে আমিও একই কথা বলতাম। যারা এধরনের অপরাধ করে, তাদের বাঁচার কোনও অধিকার নেই। সে আমার সন্তান হোক কিংবা অন্য কারও, তাদের ফাঁসি দেওয়া উচিত। নয়তো গুলি করে মারা উচিত।” রাজু সোনি এও জানান, ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তিনি ভারতকে এনিয়ে প্রশ্নও করেন ছেলেকে। যদিও অভিযোগ এড়িয়ে যায় ভারত। রাজুর কথায়, “আমি ভারতকে প্রশ্ন করলে উলটে ও জানতে চায়, এমন ঘটনা কোথায় ঘটেছে। আমি বলি উজ্জয়িনীতে। পরে সত্যিটা সামনে আসে। ও এমনটা না করলেই পারত। আর সত্যিই করে থাকলে যেন ওর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়।”
এদিকে, এমন নৃশংস ঘটনায় মর্মাহত উজ্জয়িনী পুলিশও। তারা কিশোরীর চিকিৎসার সমস্ত খরচ, শিক্ষার খরচ, এমনকী বিয়ের খরচের দায়িত্বও নিয়েছে। অজয় বর্মা জানিয়েছেন, এই উদ্যোগে তাঁরা অনেককেই পাশে পেয়েছেন।