সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আঁচ পড়ল না পার্টিগেট কেলেঙ্কারির। দলীয় সাংসদদেরই ডাকা আস্থাভোটে জয়ী হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফলে আগামী একবছর তাঁর মসনদ একপ্রকার সুরক্ষিত বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, ব্রিটিশ আইন মতে একবার আস্থাভোট হয়ে যাওয়ার পর একবছর ফের অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা যায় না।
রয়টার্স সূত্রে খবর, সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আস্থাভোটের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী জনসন (Boris Johnson)। তাঁর পক্ষে ২১১টি ভোট পড়েছে, আর বিপক্ষে ১৪৮টি। ২০১৯ সালে বিপুল জনমত নিয়ে ক্ষমতায় এলেও পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে কিছুদিন ধরেই প্রবল অস্বস্তিতে রয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। অস্বস্তি বাড়িয়ে তাঁরই নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির অন্তত ৫৪ জন এমপি সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে আস্থাভোটের ডাক দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী জনসনকে সরাতে গেলে অন্তত ১৮০ জন কনজারভেটিভ এমপি-কে তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দিতে হত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের ২১১ জন এমপি তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। অর্থাৎ, বিতর্ক থাকলেও দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি-র যে এখনও বরিসের উপরেই আস্থা রয়েছে, তা ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে ওয়াইন উল্লাসে মেতে বিপাকে বরিস জনসন, অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে দলীয় এমপি-রা]
উল্লেখ্য, করোনা রুখতে দীর্ঘ দু’বছর লকডাউন বিধি জারি ছিল গোটা ব্রিটেনে (Britain)। কিন্তু সেই লকডাউন চলাকালীনই খাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে অজস্র পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যার মধ্যে অন্তত তিনটিতে প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। কয়েক মাস আগে কয়েকটি প্রথম সারির ব্রিটিশ দৈনিকে জনসনের পার্টিতে উপস্থিত থাকার সেই ছবিও ফাঁস হয়ে যায়। তদন্তে নামে পুলিশ। সেই ‘পার্টিগেট’ কেলঙ্কারিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডাউনিং স্ট্রিটে রিপোর্ট জমা দেন বর্ষীয়ান ব্রিটিশ আমলা স্যু গ্রে। রিপোর্টে বরিস জনসন সরকারের ‘নেতৃত্বের ব্যর্থতা’র কড়া সমালোচনা করেন আমলা স্যু গ্রে।
তারপরই এপ্রিল মাসে বিধিনিষেধ অমান্য করে পার্টিগেট বিতর্কে পার্লামেন্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। তার আগে লকডাউনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিধি ভেঙে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করার দায়ে ২০ জনকে জরিমানা করেছিল লন্ডন পুলিশ। ফলে বিরোধীদের চাপের মুখে আইন প্রণেতাদের সামনে নিজের ভুল স্বীকার করে নেন জনসন।