সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও গভীর সঙ্কটে পাকিস্তান (Pakistan)। এফএটিএফের (FATF) ধূসর তালিকা থেকে কিছুতেই নিজেদের মুক্ত করতে পারেনি ইসলামাবাদ। এরই মধ্যে তাদের ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ’ (High-risk countries) শ্রেণিভুক্ত করল ব্রিটেন (UK)। অর্থ তছরুপ ও সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগেই এই তালিকায় রাখা হল ইমরান খানের দেশকে। প্রসঙ্গত, মোট ২১টি দেশকে এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টিকে একেবারেই মেনে নিতে পারছে না পাকিস্তান। সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরীর দাবি, কোনও উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে। পুরো ব্যাপারটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেন তিনি। রীতিমতো কটাক্ষ করে তিনি জানিয়েছেন, ”আশা করব তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে সরে এসে এই সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করবে ব্রিটেন।”
[আরও পড়ুন: ফের জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি আমেরিকায়, পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ]
২০১৮ সালের জুন মাসে ধূসর তালিকাভুক্ত করা হয় ইমরান খানের দেশকে। সেই সঙ্গে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় ২০১৯ সালের মধ্যে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়া ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে অ্যাকশন প্ল্যানগুলি মেনে চলতে। পরে করোনা পরিস্থিতিতে এই ডেডলাইন পরে আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ইমরান প্রশাসন মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছে ওই তালিকার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার। কিন্তু প্যারিস স্থিত FATF-এর একের পর এক বৈঠকের পরও কাটেনি বিপদ। ধূসর তালিকা থেকে আর বেরনো হয়নি ইসলামাবাদের। নিঃসন্দেহে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ’ -এর তালিকায় ঢুকে পড়ায় আগামী সময়ে এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে বের হওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়বে পাকিস্তানের পক্ষে।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে কাজ হারিয়ে যৌনকর্মী হয়ে গিয়েছেন স্বামী! জানতে পেরে কী করলেন স্ত্রী?]
প্রসঙ্গত, ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ’-এর এই তালিকায় পাকিস্তান ছাড়াও রয়েছে আলবেনিয়া, বার্বাডোজ, কম্বোডিয়া, পানামা, সেনেগাল, সিরিয়া, উগান্ডা, জিম্বাবোয়ে প্রমুখ দেশ।