shono
Advertisement

এখনই সারাতে হবে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্র, না হলে বিকিরণের আশঙ্কা, যুদ্ধবিরতি চায় ইউক্রেন

টুইট করে যুদ্ধবিরতির আবেদন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীর।
Posted: 08:14 PM Mar 09, 2022Updated: 10:03 PM Mar 09, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা সময়। এর মধ্যেই সংস্কার করতে হবে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের (Chernobyl Nuclear Power Plant)। না হলেই ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়তে পারে মানব সমাজ। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গোটা ইউরোপ। এমন আশঙ্কা করে বুধবার টুইট করলেন ইউক্রেনের (Ukraine) বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা (Dmytro Kuleba)। তিনি রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক কেন্দ্র সংস্কারে সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেন।

Advertisement

ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, দু’দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের কুলিং সিস্টেম৷ এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত ইলেক্ট্রিক্যাল গ্রিডের সংস্কার করা না হলে ছড়িয়ে পড়বে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ৷ যা মারাত্বক বিপদ ডেকে আনবে।

[আরও পড়ুন: ‘আমাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফল ভুগতে হবে’, হুঁশিয়ারি রাশিয়ার]

টুইটে দিমিত্রো লিখেছেন, “ডিজেল জেনারেটর আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। এর পর পারমাণবিক কেন্দ্রের কুলিং সিস্টেম বন্ধ হয়ে যাবে৷ এর ফলে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ছড়াবে। পুতিনের (Vladimir Putin) বর্বরোচিত যুদ্ধ গোটা ইউরোপকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এখনই এই যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত ওঁর।” আরও একটি টুইটে ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রী লেখেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলব, জরুরি ভিত্তিতে রাশিয়ার কাছে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান। যাতে করে অবিলম্বে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সংস্কার করা যায়।”

উল্লেখ্য, বর্তমানে ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের দখল রয়েছে রুশ সেনার হাতে। আগেই জানা গিয়েছিল, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ক্ষতি হয়েছে প্ল্যান্টটির। যার পর গোটা পৃথিবীতে উদ্বেগ ছড়িয়েছিল। ওই হামলার ফলে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ ছড়ানোর ভয় পাচ্ছিল সকলে। সেই আশঙ্কা সত্যি হতে পারে, দাবি ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রীর। 

[আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সের পর এবার পেপসি, কোক! কোন কোন সংস্থা ব্যবসা গোটাল রাশিয়া থেকে?]

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের (Ukraine) বিরুদ্ধে হামলার পর থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। মঙ্গলবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) জানিয়েছেন, রাশিয়ার (Russia) থেকে কোনও জ্বালানিই আর নেবে না আমেরিকা। এরপরই মস্কো প্রতিবাদে মুখর হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে জারি হওয়া সমস্ত নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পশ্চিমকে। জানিয়েছে, এর ফল ভুগতে হবে দেশগুলিকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement