সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল বন্যায় কার্যত সমুদ্রের চেহারা নিয়েছে পাকিস্তান। এহেন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কায় দেশটির খাদ্যভাণ্ডার কার্যত শূন্য। শুধু তাই নয়, মহেঞ্জোদারোর ধ্বংসস্তূপ চিরকালের জন্য কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে । এহেন সংকটকালে দেশটিতে পৌঁছলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।
বন্যা (Flood) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার দু’দিনের সফরে ইসলামবাদ পৌঁছন গুতেরেস। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেন, “এহেন বন্যা বিপর্যয়ে পাকিস্তানি মানুষের পাশে দাঁড়াতে ও সহমর্মিতা প্রকাশ করতে আমি এখানে এসেছি। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলায় পাকিস্তানর পাশে দাঁড়াতে আমি আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।” সূত্রের খবর, আজ পাকিস্তান সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন গুতেরেস বলে খবর। একইসঙ্গে, বন্যা বিধ্বস্ত এলাকাগুলিও ঘুরে দেখবেন তিনি। বলে রাখা ভাল, এই সফরের আগে পাকিস্তানেকে ১৬০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রস্তাবকে সমর্থন জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: বন্যা বিধ্বস্ত পাকিস্তানকে ৫ কোটি টাকা দিয়েছেন অনিল কাপুর! জেনে নিন সত্যিটা কী?]
কার্যত জলের তলায় চলে গিয়েছে পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ এলাকা। সিন্ধ প্রদেশে অবস্থিত মহেঞ্জোদারোর ধ্বংসাবশেষও বিপন্ন। সিন্ধু নদের তীরে অবস্থিত সাড়ে ৪ হাজার বছর আগের প্রাচীন সভ্যতার এই নিদর্শন ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে’র অন্তর্গত। গোটা বিশ্বের কাছে যা এক বিস্ময়ের খনি। সেই ধ্বংসস্তূপই এবার ধ্বংস হয়ে যেতে বসেছে প্রবল বন্যায়। লাগাতার বৃষ্টিতে প্রভূত ক্ষতি ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৫ হাজার বছর আগের বহু দেওয়াল ভেঙে পড়েছে বৃষ্টির প্রকোপে। ওই অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক এহসান আব্বাসি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই প্রত্নতাত্ত্বিকরা ওই ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের সারাইয়ের কাজ শুরু করেছেন। তবে ওই ধ্বংসাবশেষের বিরাট ক্ষতি হলেও সেখানে অবস্থিত বুদ্ধ স্তূপটি একেবারে অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার পাকিস্তানে (Pakistan) বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি জানিয়েছেন, যা পরিস্থিতি তাতে পাকিস্তানের একটা বড় অংশকে সমুদ্রের মতো মনে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মিনচের কাছে মদতের আরজিও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতের ত্রাণ নিতে প্রস্তুত নন তাঁরা।