সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব উষ্ণায়ন। বারবার সভ্যতার সামনে এক ভয়াবহ বিপদ হিসেবে উঠে এসেছে এই শব্দবন্ধ। তবুও অদূর ভবিষ্যতের আশঙ্কাকে সমসময়ে ততটা গুরুত্ব দিতে নারাজ হয়েছেন বহু মানুষ। আর সেই অসচেতনতার ফলশ্রুতি, বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে জল। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, আর সময় নেই। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। জলবায়ুর পরিবর্তন (Climate Change) প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের (UN) নয়া রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে এক অশনি সংকেত।
কী সেই অশনি সংকেত? রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই শতাব্দীর শেষে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প স্তরের থেকেও ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। যার ফলে পৃথিবীর জলবায়ুর প্রবল ক্ষতি হবে। বিজ্ঞানীদের মতে, তা কখনওই ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হবে না।
[আরও পড়ুন: ভারতে বাড়ল পেঙ্গুইনের সংখ্যা, মুম্বইয়ে জন্ম নিল জোড়া শাবক]
এই রিপোর্ট সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সচিব অ্যান্টনিও গুটেরস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পৃথিবী যে পথে চলেছে তা ‘সর্বনাশা’। সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, ”আজ থেকে ৬ বছর আগে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির সময় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের যে লক্ষ্যমাত্রা আমরা রেখেছিলাম তা আমরা রাখতে পারিনি।” সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ”টার্গেটে পৌঁছতে যে টুল প্রয়োজন. তা আমাদের কাছে আছে। কিন্তু আমাদের সময় দ্রুত কমে আসছে।”
তাহলে এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার উপায় কী? অ্যান্টনিওর কথায়, ”এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, সকলকে সমান দায়িত্ব নিতে হবে।” সমস্ত দেশের কাছে তাঁর আরজি, প্রত্যেকে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে নিজেদের মতো টার্গেট তৈরি করে নিক। আর সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলুক। কিছু দেশ যে ইতিমধ্যেই এব্যাপারে পদক্ষেপ করেছে, সেকথা জানিয়েও তাঁর মন্তব্য, ”সমস্ত দেশ এগিয়ে না এলে, বিশেষ করে যারা বড় অর্থনীতির দেশ, তারা এগিয়ে না এলে সব প্রচেষ্টাই জলে যাবে।”
শুক্রবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন, আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন একযোগে কাজ করবে যাতে মিথেন নিঃসরণ এই দশকের শেষে ৩০ শতাংশ কমানো যায়। একই ভাবে ঘোষণা করেছে জেনমার্ক ও কোস্টা রিকা। বিজ্ঞানীদের আশা, এই ধরনের সচেতনতা বাড়লে নিশ্চয়ই ভাল কিছু হবে। আপাতত সেই আশাকে সম্বল করেই এগোতে চাইছেন তাঁরা।