সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে হল না পরিবর্তন। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র উপরই আস্থা রাখল বিহারবাসী। ধরাশায়ী আরজেডি-কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই, বিহারে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের পর্যালোচনা বৈঠক করেছে কংগ্রেস। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাহুল। এবার অবশেষে মৌনতা ভাঙল আরজেডি। এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে এই হারের পরে দলের বিবৃতি করেছে লালুর দল।
এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে আরজেডি-র তরফে লেখা হয়েছে, 'জনসেবা একটি চলমান প্রক্রিয়া, একটি অন্তহীন যাত্রা। এতে ওঠাপড়া লেগেই থাকে। হারের কোনও দুঃখ নেই, জয়ে কোনও অহংকার নেই। রাষ্ট্রীয় জনতা দল দরিদ্রদের দল। এটি দরিদ্রদের মধ্যেই তাদের আওয়াজ তুলবে।'
বিহারের নির্বাচনে ভরাডুবির মাঝেও এক্স হ্যান্ডেলের এই পোস্টের মাধ্যমে কর্মীদের মনোবল ধরে রাখার চেষ্টা করছে লালুর দল। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল সেই কথা বলছে না। গতবারের ৭৫ আসন থেকে তাঁদের বিধায়ক সংখ্যা নেমে হয়েছে ২৫টি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ১৯ থেকে কমে হয়েছে ৬টি।
আরজেডি নিজের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি-কে আক্রমণ না করলেও কংগ্রেসের মুখে শোনা গিয়েছে ভোট চুরির কথা। এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে রাহুল লেখেন, দল এবং ইন্ডিয়া ব্লক এই পরাজয়ের একটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করবে এবং 'গণতন্ত্র বাঁচাতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে'। তিনি আরও বলেন, বিহারের এই পরাজয়ের পিছনে অন্যতম বড় কারন ভোট চুরি।
এবারের নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে মহাগটবন্ধনের। এবারের নির্বাচনে বিজেপি ৮৯টি আসন জিতেছে। ২০২০ সালের নির্বাচনে তাদের আসন সংখ্যা ছিল ৭৪টি। অন্যদিকে, নীতীশ কুমারের জেডিইউ ৪৩ আসন থেকে বেড়ে ৮৫টি আসন জিতেছে।
