সুলয়া সিংহ: করোনাকালে দুর্গাপুজো। প্রতিবারের মতো এবারও নির্বিঘ্নে প্রতিমা দর্শনের জন্য পুজো পাসের ব্যবস্থা করেছিল ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’। এমনকী, কোভিডবিধি মাথায় রেখে স্লটেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু হাই কোর্টের নির্দেশে বন্ধ মণ্ডপে প্রবেশ। তাহলে সেই পাসগুলির কী হবে? অনেকেই আগেভাগে পাস কিনে ফেলেছিলেন, তাঁরা কি টাকা ফেরত পাবেন? সোমবার আদালতের রায়ের পর থেকেই এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে বঙ্গবাসীর মনে।
রাজ্যবাসীর উদ্বেগর কথা মাথায় রেখেই পাসের টাকা রিফান্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’। পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকে নতুন পাস বিক্রিও বন্ধ রাখছে তাঁরা। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, যে প্ল্যাটফর্ম থেকে দর্শনার্থীরা পাস কিনেছিলেন, সেই প্ল্যাটফর্মর মাধ্যমেই টাকা রিফান্ড করা হবে। টাকা ফেরত পেলেও পুজোর আনন্দ একেবারে মাটি হল বলেই মনে করছে বঙ্গবাসী।
[আরও পড়ুন : দর্শকহীন পুজোয় আপত্তি, হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ফের আদালতে যাচ্ছে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’]
মহামারীর হাজারও বিধিনিষেধ মেনে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। পুজো দর্শনেও এ বছর জারি হয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। প্রতিবারের মতো এবছরও নির্বিঘ্নে, নিরিবিলিতে শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুর্গাপুজো দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব (Forum For Durgatsab)। করোনা আবহে ব্যবস্থা করা হয়েছিল বিশেষ ই পাসের। আগে থেকে এই ই-পাস (E-pass) বুক করে পঞ্চমী থেকে নবমীর নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট অঞ্চলে প্রতিমা দেখতে পারতেন দর্শনার্থীরা।
কিন্তু হাই কোর্টের নির্দেশে সম্পূর্ণ ছবিটাই বদলে গিয়েছে। এই প্রথম বছর হয়তো দর্শক ছাড়াই হবে দুর্গাপুজো। কারণ হাই কোর্টের নির্দেশে তো মণ্ডপে নো এন্ট্রি। তাই পাসেরও আর প্রয়োজন পড়বে না। একেকটি ই-পাসের জন্য ২০০ টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা ফিরিয়ে দেবে সংগঠন। তবে মঙ্গলবার হই কোর্ট তাঁদের রায় পুনর্বিবেচনা করলে, পরিস্থিতি ফের বদলে যেতে পারে বলে আশায় বুক বাঁধছেন একাধিক পুজো উদ্যোক্তরা।
