রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শাসক-বিরোধী সকলেরই পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। তা নিয়ে চলছে জোর প্রস্তুতি। অথচ তারই মাঝে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে একের পর এক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী। এই ইস্যুতে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসকদল। স্বাভাবিকভাবেই তা অক্সিজেন জোগাচ্ছে বিরোধীদের। শিবরাত্রির দিন ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। পালটা জবাব দিল তৃণমূল।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “রাজ্য সরকারের সব থেকে বড় অপরাধ তারা সরস্বতীর পুণ্যভূমিতে শিক্ষাকে কেন্দ্র করে সবরকম দুর্নীতি করেছে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, পড়ুয়াদের জন্য আসা মিড ডে মিলের টাকায় দুর্নীতি। বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না। তদন্ত চলছে। সব সামনে আসতে চলেছে।” বারবার বাংলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের আনাগোনার কারণ ঠিক কী, তা-ও এদিন স্পষ্ট করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, “২০১৯ সালের থেকে বিজেপির প্রতি বাংলায় বেশি উৎসাহ নজরে পড়ছে। তাই আমরাও আগের থেকে বেশি বাংলায় আসছি। রাজ্য সরকারের দুর্নীতির কারণে প্রধান বিকল্প হিসেবে বাংলার মানুষ বিজেপির সঙ্গে থাকছে।” এরপর রাজ্যের সকলকে শিবরাত্রির শুভেচ্ছাও জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘চাকরি যাবে না তো?’, বাগদার ‘সৎ রঞ্জনে’র গ্রেপ্তারিতে আশঙ্কায় মামাভাগ্নে গ্রাম]
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে অবশ্য পালটা জবাব দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ উত্তরপ্রদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে তোপ দেগেছেন। তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক দু্র্নীতির সন্ধান পেয়েছে ইডি। বাংলায় কোনও দুর্নীতি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। আমরা তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করি। আগামী দিনেও করব। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যে কী হচ্ছে, তা ধর্মেন্দ্র প্রধান জানেন?” আপাতত নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজনৈতিক মহলে যে জোর শোরগোল চলছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।