সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশি লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ (UN)।
[আরও পড়ুন: মুকুটে নয়া পালক, উন্নয়নশীল দেশের তকমা পেল বাংলাদেশ]
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাকলেট বলেন, “বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। আমরা লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। মুশতাক আহমেদ যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত হয়েছিলেন সেটি পুরোপুরি ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন রয়েছে। মত প্রকাশের জন্য এই আইনে যারা আটক হয়েছেন সবাইকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে।” একই আইনে বন্দি থাকা কার্টুনিস্ট আহমেদ কিশোরকে নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন হাইকমিশনার। পেশায় ব্যবসায়ী মুশতাক অনলাইনে লেখালেখিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তা সংগঠনের দিদারুল ভূইয়া এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন পরিচালক মিনহাজ মান্নানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় ‘সরকারবিরোধী প্রচার ও গুজব ছড়ানোর’ অভিযোগ আনা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৬ মে মুশতাক ও কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে বাংলাদেশের এলিট বাহিনী র্যাব বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং গুজব ছড়িয়ে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। তারপর গত বৃহস্পতিবার রাতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রহস্যজনকভাবে মারা গিয়েছেন ৫৩ বছরের লেখক মুশতাক। হাসিনা সরকারের অত্যন্ত কড়া সমালোচক বলে পরিচিত ছিলেন মুশতাক।তাঁকে পথে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলির। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। তবে এই বিষয়ে সমস্ত অভিযোগ উড়য়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।