সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০১ সালে আমেরিকান টুইন টাওয়ারে জঙ্গি হানার ২০ বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর। তার আগেই আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে সমস্ত মার্কিন সেনাকেই প্রত্যাহার করে নেবে আমেরিকা। সম্ভবত বুধবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘোষণা করবেন জো বাইডেন (Joe Biden)। কেবল আমেরিকাই নয়, ব্রিটেনও তাদের সেনা সরিয়ে নেবে আফগানিস্তান থেকে।
এই পরিস্থিতিতে সংশয় তৈরি হয়েছে আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে। মার্কিন সেনা-সহ অন্যান্য দেশের সেনা সরিয়ে নেওয়া হলে অচিরেই সেদেশের দখল নিতে পারে তালিবানরা (Taliban)। আশঙ্কা তেমনই। প্রসঙ্গত, এমনিতেও শান্তি আলোচনা চলার মাঝেই বারবার জঙ্গি হামলা হয়েছে আফগানিস্তানে। এই হামলাগুলির পিছনেও তালিবানেরই হাত দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। আফগান সরকারের পক্ষে তালিবানদের সামলানো বেশ কঠিন। মার্কিন সেনা সরলেই দেশটা ফের পুরোপুরি দখলে নিতে পারে তালিবানরা।
[আরও পড়ুন: চুক্তি ভেঙে আণবিক বোমা তৈরির পথে ইরান! সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশ্ব]
কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সেনা নাকি ১ মে-র মধ্যে সরিয়ে নেবে আমেরিকা। তখনই মার্কিন গোয়েন্দারা রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, পরিস্থিতি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে অনুকূল নয়। সেই পরামর্শ মেনে বাইডেন সিদ্ধান্ত নেন, আপাতত সেনা প্রত্যাহার নয়। যদিও এবার সিদ্ধান্ত, সেপ্টেম্বরের আগেই সরিয়ে নেওয়া হবে সমস্ত সেনা।
এই পরিস্থিতিতে বুধবারই এক বৈঠকে মিলিত হবেন আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির বিদেশমন্ত্রীরা। যদিও সেই বৈঠকে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি কিংবা ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্ত বিবাদের মতো বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে। কিন্তু প্রধান ফোকাস অবশ্যই থাকবে আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের দিকে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে গোটা পৃথিবী শিউরে উঠেছিল টুইন টাওয়ারে বিমান হানার ভয়াবহ দৃশ্য দেখে। এরপরই তালিবান বিরোধী অভিযান চালাতে আফগানিস্তানে সেনা পাঠায় আমেরিকা। তারপর কেটে গিয়েছে দুই দশক। এবার দীর্ঘ সময়ের এই অভিযানে রাশ টানতে চাইছে আমেরিকা। সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গেই ফের আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়েও শুরু হল জল্পনা।