সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিতর্ক উসকে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। স্পষ্ট জানালেন, হোলি বছরে একবারই আসে। অথচ নমাজ বহুবার পড়া হয়। তাই হোলির জন্য নমাজের সময় খানিকটা পিছিয়ে নিয়ে গেলেও বিশেষ ক্ষতি নেই। আগামী ১১ মার্চ রাজ্যের ফুলপুর কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন। নির্বাচনী জনসভায় যোগী আদিত্যনাথ এই মন্তব্য করেন।
[ঐচ্ছিক বিষয় থেকে কেন বাদ উর্দু? আদালতে ভর্ৎসনার মুখে যোগী সরকার]
ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহে। ইমাম-এ-ইদগাহ মৌলানা খালিদ রশিদ রাজ্যের সমস্ত মসজিদের ইমামদের অনুরোধ করেন, হোলি উপলক্ষ্যে শুক্রবারের নমাজের সময় আধঘণ্টা বা একঘণ্টা পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। এই মৌলানা খালিদ রশিদই আবার অল ইন্ডিয়া মুসলিম ল’ বোর্ডের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য। তাঁর যুক্তি ছিল, হোলির মতো পবিত্র উৎসবের সময় নমাজ খানিকটা পিছিয়ে দিলে বিশেষ সমস্যা নেই। বরং এতে সব সম্প্রদায়ের কাছে মুসলিমদের সম্পর্কে একটা ভাল ভাবমূর্তি তৈরি হবে। যোগী আদিত্যনাথ তাঁর নির্বাচনী মঞ্চ থেকে মৌলানা সাহেবের এই পদক্ষেপেরই প্রশংসা করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘গত ১১ মাসে এ রাজ্যে একটাও দাঙ্গা হয়নি। আপনারা শান্তিতে হোলি কাটাতে পেরেছেন। বছরে একবারই এই উৎসব আসে। আমি মুসলিম ভাইদের অনুরোধ করেছিলাম হোলি উপলক্ষ্যে নমাজ একটু পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করি। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ যে তাঁরা আমার অনুরোধ রেখেছে নমাজের সময় খানিকটা পিছিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।’ প্রীতমনগরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। তবে কি মুখ্যমন্ত্রী নমাজকে খাটো করলেন? তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশের মধ্যে। ক্ষোভ প্রশমনে আসরে নামেন সেই মৌলানা খালিদ রশিদই। বলেন, ‘বাস্তবটা বুঝতে হবে। অতীতে বহুবার নমাজ পড়তে যাওয়া মুসলিম ভাইদের গায়ে রং ছুড়ে মারা হয়েছে। হয়তো উৎসবের মেজাজেই করা হয়েছে। কিন্তু এমনটা হলে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্ন হতে পারে। এ রাজ্যে বহু ভাষাভাষী, মত, ধর্মী নির্বিশেষে মানুষের বাস। তাই এই সিদ্ধান্ত।’
[চলছে আজান, ত্রিপুরাজয়ের উল্লাসেও বক্তৃতা থামালেন মোদি]
The post ‘নমাজ বারবার পড়া হলেও হোলি বছরে একবারই আসে’, বিস্ফোরক যোগী appeared first on Sangbad Pratidin.