সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত এক বছরে যোগীরাজ্যের মাদ্রাসাগুলি (Madrasa) বারবার খবরে এসেছে। বারবার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অপছন্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। মাদ্রাসার সিলেবাসে যে বদল আসবে, তখনই সেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়। বুধবার সেই ঘোষণাই করা হল মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের তরফে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা সংসদ অর্থাৎ ন্যাশানাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের তৈরি করা সিলেবাসেই পড়াশোনা করবে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা।
মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের চেয়ারপার্সন ইফতিকার আহমেদ জাভেদ বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন সিলেবাসে।” জানান, এবারা মাদ্রাসার পড়ুয়ারা অঙ্ক, বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার শিক্ষা পাবে। উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরে ওয়াকফ বোর্ড জানিয়েছিল, মাদ্রাসার সিলেবাস বদল আসবে। নতুন সিলেবাস তৈরি করবে NCERT। সেই সিলেবাসই রাজ্যে কার্যকর হবে। এছাড়াও ওয়াকফ বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী দিনে সব ধর্মের পড়ুয়ারা মাদ্রাসায় শিক্ষা নিতে পারবে। এছাড়াও ইসলামিক স্কুলের আধুনিকিকরণে পড়য়াদের জন্য নির্দিষ্ট রঙের ইউনিফর্ম তৈরি হচ্ছে। ওয়াকফ বোর্ডের প্রধান শাদাব শামস বলেন, “লক্ষ্য হল মাদ্রাসা পড়ুয়াদের মূলস্রোতে আনা। পরবর্তীকালে সিবিএসই অথবা রাজ্যের বোর্ডের অনুমোদনের চেষ্টাও হবে।”
[আরও পড়ুন: ৭৫ বছরের নজির ছুঁয়ে আরও একধাপ এগোল ভারত, দেশে আসতে চলেছে ১২টি চিতা]
গত অক্টোবর মাসে এক সমীক্ষার পর রাজ্যের ৩০৭টি মাদ্রাসাকে (Madrasa) বেআইনি ঘোষণা করে যোগী সরকার। ওই মাদ্রাসাগুলি একাধিক সরকারি বিধি লঙ্ঘন করায় তাদের বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে, জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিজেপি (BJP) সরকার। বেআইনি ঘোষিত মাদ্রাসাগুলির মধ্যে রয়েছে ইসলামিক শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উল্লামও। মাদ্রাসগুলির প্রশাসনিক সমীক্ষার পরেই সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলেও জানানো হয়।
[আরও পড়ুন: মাথায় হাত মধ্যবিত্তের! ২ বছরের রেকর্ড ভেঙে আরও মহার্ঘ্য সোনা]
প্রসঙ্গত, গত বছরে মাদ্রাসা-সহ রাজ্যের ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে একাধিক কড়া পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে যোগী প্রশাসনকে। এইসঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকীকরণে জোর দিয়েছিল সরকার। সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি হিন্দি, ইংরেজি, অঙ্ক, বিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানানো হয়েছিল। মাদ্রাসার পড়ুয়াদের অন্য স্কুলের পড়ুয়াদের সমকক্ষ করে তোলাই উদ্দেশ্য, এমনটাই জানিয়েছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। এদিন কার্যত সেই ঘোষণাই করা হল।