সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসাদ আহমেদকে এনকাউন্টার (Asad Ahmed Encounter) না করে জীবিত অবস্থায় আটক করার উদ্দেশ্য ছিল পুলিশের। কিন্তু পালাতে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে লাগাতার গুলি চালাতে থাকে কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের (Atiq Ahmed) পুত্র। বাধ্য হয়েই পালটা দেয় পুলিশ, এমনটাই দাবি করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের (Uttar Pradesh Police) এফআইআরে। অন্যদিকে, ছেলের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে পারবেন না আতিক আহমেদ, জানিয়ে দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আসাদ ও তাঁর সঙ্গী গুলামের। সেই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে বলা হয়, “বাইকে চেপে পালাচ্ছিল দুই অভিযুক্ত। একাধিকবার তাদের থামতে বলা হলেও সেই কথা কানে তোলেনি। দ্রুত গতিতে পালাতে গিয়ে একটি জায়গায় উলটে যায় তাদের বাইক। তখন পালানোর সময়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবৃষ্টি শুরু করে দুই অভিযুক্ত। বাধ্য হয়ে নিরাপদ জায়গা থেকেই পালটা গুলি চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে আহত হয় তারা। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।”
[আরও পড়ুন: ইডেনে আজ ফিরতে পারেন বোলার রাসেল, কোচের নির্দেশ মাঠে পরিষ্কার করলেন রানারা]
এই ঘটনার পরে প্রকাশ্যে এসেছে আরও একটি তত্ত্ব। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বাবা আতিক আহমেদের কনভয়ে হামলার পরিকল্পনা করছিল আসাদ ও গুলাম। উত্তরপ্রদেশ থেকে গুজরাটের সবরমতী জেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আতিককে। সেটা আটকাতেই হামলার ছক কষেছিল তাঁর পুত্র, যেন নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ তোলা যায়। তার জেরে স্থগিত করে দেওয়া যেতে পারে আতিককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা। তবে সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, পুত্রের শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার অনুমতি পাননি আতিক। শুক্রবারেই কবরস্থ করা হবে মৃত আসাদ ও গুলামকে। কিন্তু ছেলের কবরে মাটি দিতে পারবেন না আতিক। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এনকাউন্টার নীতির তীব্র বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাট। তিনি বলেন, “দেশের বিচারব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিরোধী এই এনকাউন্টারের নীতি। যেকোনও অপরাধেরই বিরোধী আমরা। কিন্তু তার মানে এই নয় বিচারপ্রক্রিয়া ছাড়াই কাউকে এনকাউন্টার করে দেওয়া হবে।”