সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনকে অস্ত্র দিলে ‘বিদ্যুদ্বেগে প্রত্যাঘাত’ করা হবে। আমেরিকাকে এমনটাই হুমকি দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু সেই হুঁশিয়ারি হেলায় উড়িয়ে ফের কিয়েভের জন্য বিরাট সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করল ওয়াশিংটন।
শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, ইউক্রেনকে ৭৭৫ মিলিয়ন (৭৭ কোটি ৫০) ডলারের অস্ত্র দেওয়া হবে। এর অন্তর্গত জেলেনস্কি বাহিনীকে অত্যাধুনিক হিমারস রকেট সিস্টেম, কামান ও ল্যান্ড মাইন খোঁজার যন্ত্র দেওয়া হবে বলে খবর। শুধু তাই নয়, এই প্যাকেজে থাকছে ১৫টি স্ক্যান ঈগল ড্রোন, ৪০টি মাইন প্রোটেক্টেড গাড়ি, ১ হাজার ৫০০টি গাইডেড মিসাইলও। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমতা বলে এই প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক শীর্ষ আমলা। সবমিলিয়ে, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত ইউক্রেনকে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে আমেরিকা। ফলে মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সংঘাতের সম্ভাবনা ক্রমে বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন খোদ সিজার! রহস্যময়ী ক্লিওপেট্রা যেন মর্ত্যের ‘ভেনাস’]
উল্লেখ্য, সরাসরি ইউক্রেনে সৈন্য পাঠায়নি কোনও দেশ। তবে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। তার মধ্যে অন্যতম আমেরিকা (USA)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, একটি রুশ ট্যাঙ্কের অনুপাতে দশটি অ্যান্টি আর্মার সিস্টেম পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বিপুল পরিমাণে মিসাইল, গ্রেনেড লঞ্চার, হেলিকপ্টার, ড্রোন, মেশিন গান, রাডার সিস্টেম ইত্যাদি পাঠানো হয়েছে ইউক্রেনে। রুশ হামলার মোকাবিলা করতে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়েছে ব্রিটেন, চেক প্রজাতন্ত্র, জার্মানি-সহ আরও বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে (Ukraine) ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। লড়াইয়ের শুরুর দিকেই কৃষ্ণসাগরের বন্দর শহর খেরসন দখল করে নেয় রুশ ফৌজ। তারপর শহরটি ফের দখল করতে লড়াই শুরু করেছে জেলেনস্কি বাহিনী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, রাশিয়ার হাত থেকে কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্নেক আইল্যান্ড উদ্ধার করে ইউক্রেনের সেনা। আর পশ্চিমের অস্ত্রে বলীয়ান হয়েই যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ ফৌজকে নকানিচোবানি খাওয়াচ্ছে জেলেনস্কি বাহিনী।