সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জর্জ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক মৃত্যুর স্মৃতি উসকে দিল লুসিয়ানা পুলিশের কাণ্ড কারখানা! ট্রাফিক আইন ভাঙায় এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে ধাওয়া করছিল তারা। ভয় পেয়ে গাড়ির গতি আরও বাড়িয়ে দেয় ওই ব্যক্তি। পরে পুলিশ দাবি করেছিল, গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অথচ গাড়িতে দুর্ঘটনার চিহ্নমাত্র ছিল না। যা দেখে পুলিশের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ দায়ের করেন মৃত রোনাল্ড গ্রেনের পরিবার। বছর দুয়েক তদন্ত চলার পরই চিত্রনাট্যে এল নয়া মোড়।
চলতি সপ্তাহে লুসিয়ানা পুলিশের বডি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া ঘটনাবলি সামনে আসে। তাতেই অভিযোগের তির পুলিশের দিকে ঘুরে গিয়েছে। প্রকাশ্যে আসা ভিডিওয়ে দেখা গিয়েছে, গ্রেনেকে গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যাচ্ছেন লুসিয়ানার পুলিশ কর্মীরা। কখনও তাঁর গলা টিপে ধরা হয়েছে, তো কখনও রাস্তায় ফেলে কলার ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর ফলে গুরুতর জখম হয়েছিলেন গ্রেনে। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হলে মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের মারধরের জেরেই গ্রেনের হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে গিয়েছিল। এর জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই লুসিয়ানা পুলিশ মেনে নিয়েছে, গ্রেনেকে গ্রেপ্তারির সময় গায়ের জোর প্রয়োগ করেছিল তারা।
[আরও পড়ুন: প্যালেস্তাইনের সমর্থনে মিছিলে হামলা, বোমা বিস্ফোরণে পাকিস্তানে নিহত অন্তত ৭]
প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গ্রেনের গাড়ি আটকায় লুসিয়ানার পুলিশ। তার পর তাঁকে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামানো হয়। সেই সময় বারবার ক্ষমা চাইতে শোনা গিয়েছে গ্রেনেকে। তিনি বারবার বলেছিলেন, “আমি ভয় পেয়ে পালাচ্ছিলাম। ক্ষমা চাইছি। ভুল হয়ে গিয়েছে।” তবে তাঁর আবেদনে কর্ণপাত করেননি পুলিশ কর্মীরা। উলটে কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। কখনও পা ধরে টানতে টানতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কখনও চলেছে কিল-চড়-ঘুষি-লাথি। স্বাভাবিকভাবেই এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন আমেরিকা নিবাসী কৃষ্ণাঙ্গরা। ২০১৯ সালের মে মাসের ১০ তারিখে মৃত্যু হয়েছিল গ্রেনের। ভিডিও সামনে আসার পর তাঁর পরিবারের আশা, দুবছর পর অন্তত উপযুক্ত বিচার পাবে গ্রেনে।