সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহেই এবার নয়া চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি জো বাইডেন প্রশাসন। সাইবার হানায় থমকে গেল আমেরিকার (America) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইন সংস্থা কলোনিয়াল পাইপলাইনের সমস্ত নেটওয়ার্ক। ফলে রীতিমতো বিপাকে মার্কিন প্রশাসন। র্যানসামওয়্যার অ্যাটাকের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জ্বালানি সরবরাহ। ইতিমধ্যে ১৭টি রাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়াতে জারি করা হয়েছে রিজিওনাল এমারজেন্সিও। মনে করা হচ্ছে, ডার্কসাইড নামে একটি গ্রুপ এই সাইবার হামলার জন্য দায়ী। যদিও কেউ এই নিয়ে কোনও বিবৃতি এখনও জানায়নি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে হোয়াইট হাউস।
আসলে আমেরিকার পূর্ব উপকূলে প্রয়োজনীয় মোট জ্বালানীর প্রায় অর্ধেক সরবরাহ করে কলোনিয়াল পাইপলাইন নামের সংস্থাটি। প্রতিদিন ২৫ লক্ষ ব্যারেল গ্যাসোলিন, ডিজেল, জেট ফুয়েল এবং অন্যান্য শক্তিসম্পদ তারা সরবরাহ করে ৫,৫০০ মাইল লম্বা পাইপলাইনের মাধ্যমে। অর্থাৎ দেশের জ্বালানির প্রায় ৪৫ শতাংশ সরবরাহ করে এই সংস্থাটিই। কিন্তু গত শুক্রবারই সাইবার হানার শিকার হয় সংস্থাটি। বন্ধ হয়ে যায় সার্ভার। একের পর এক কম্পিউটারে হানা দেয় হ্যাকাররা। তারপরই বন্ধ করে দেওয়া জ্বালানি সরবরাহ। বিপাকে পড়ে বাইডেন প্রশাসন। তড়িঘড়ি তদন্তেও নামেন মার্কিন গোয়েন্দারা। প্রাথমিক তদন্তে তাদের আশঙ্কা, অর্থ আদায়ের উদ্দেশেই পরিকল্পনামাফিক শুক্রবার এই সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শনিবার সকালেই বিষয়টি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পুরো বিষয়টি হয়। সংস্থাটি যাতে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে জ্বালানির জোগান অব্যাহত রাখতে পারে, সেই বিষয়েও সচেষ্ট বাইডেন প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ভারতে একাধিক বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে ইজরায়েল]
তবে এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। প্রশাসনের এক প্রাক্তন আধিকারিক এবং দু’টি শিল্প সংস্থা সূত্রের খবর, এই হামলার সঙ্গে জড়িত হ্যাকাররা সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে যুক্ত। নাম উঠেছে ‘ডার্কসাইড’-এরও। এদিকে, কলোনিয়াল সংস্থার পক্ষ থেকে সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কিত একটি ফার্মকে তদন্তের দায়ভার দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এফবিআই জানিয়েছে, পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। এই হামলার পিছনে কারা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই হামলায় মার্কিন শক্তিসম্পদের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলির সাইবার নিরাপত্তা নিয়েও কিন্তু প্রশ্নও উঠেছে। এদিকে, রবিবার পর্যন্ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনও জ্বালানি সরবরাহ শুরু করা যায়নি। ফলে আগামিদিনে সেদেশে পেট্রোলিয়াম, গ্যাসোলিনের দাম বাড়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।