সুকুমার সরকার, ঢাকা: ডিসেম্বরের শেষের দিকে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ইঙ্গিত দিয়েছেন। নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে দেশের প্রধান বিরোধী দল তথা দু’বার সরকার গড়া দল বিএনপি (BNP) লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে দেশের নানা জায়গায় হিংসাও ঘটছে। দাবি সত্বেও তদারকি সরকার না পেয়ে বিএনপি ও তাদের ইসলামপন্থী শরিক দল ২০১৪ ও ২০১৯ সালের নির্বাচন দুটি বয়কট করে। এর জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয় দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে (১৯৭১ সালে) নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামি লিগ সরকারকে। নির্বাচন বয়কট করলেও বিএনপি-র মারমুখী আন্দোলনে বহু লোক প্রাণ হারায়। সেইসব ঘটনার কথা মনে রেখে এবার ঢাকা-সহ সারা বাংলাদেশে প্রবাসী নাগরিকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরার পরামর্শ দিল ঢাকার (Dhaka) মার্কিন দূতাবাস।
রবিবার বিকালে মার্কিন দূতাবাস ‘ডেমনস্ট্রেশন অ্যালার্ট’ শিরোনামে এ পরামর্শ দেয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির আগে বা ওই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ও অন্যান্য নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হয়ে গিয়েছে। সাধারণ নির্বাচনের (General Election) দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশে (Bangladesh) থাকা মার্কিন নাগরিকদের আগাম সতর্কতা মেনে চলা উচিত।
[আরও পড়ুন: সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি, থানায় বসেই আত্মহত্যার চেষ্টা পুলিশকর্মীর]
তাতে আরও বলা হয়, মর্কিন নাগরিকদের মনে রাখা উচিত যে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-কর্মসূচি যে কোনও সময় সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে, মুহূর্তের মধ্যে তা হিংসার রূপ নিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে তাদেরকে বড় সমাবেশ ও বিক্ষোভের স্থান এড়িয়ে চলতে হবে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করতে হবে। স্থানীয় ঘটনাসহ আশপাশের পরিবেশ-পরিস্থিতির বিষয়ে সচেতন থেকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে নজর রাখতে হবে।
[আরও পড়ুন: এগরার পর বজবজ, বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ৩]
ঢাকায় মার্কিন (USA) দূতাবাসের সতর্কবার্তায় দেশটির নাগরিকদের জন্য করণীয় পদক্ষেপ সম্পর্কেও উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো-বড় সমাবেশ এবং বিক্ষোভের স্থান এড়িয়ে চলা, নিজের চারপাশ সম্পর্কে সবসময় সতর্ক থাকা, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে নজর রাখা এবং জরুরি যোগাযোগের জন্য সবসময় চার্জ করা মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখা। প্রসঙ্গতঃ বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের ওপর বিশেষ মনোযোগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক, এটাই তাদের প্রত্যাশা।