সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাপানের উপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে যাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার আকাশে বোমারু বিমান পাঠাল আমেরিকা। অন্তত এমনটাই দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার। সিওলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, অন্তত চারটি মার্কিন যুদ্ধবিমান ও দুটি বোমারু বিমান কোরীয় উপসাগরের উপর টহল দিচ্ছে। চারটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ও দু’টি বি-১বি বোমারু বিমান সোমবার আমেরিকা-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথশক্তি প্রদর্শন করে। এমনকী, টহলদারির সময় মার্কিন বোমারু বিমান থেকে বোমাবর্ষণও করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
[মোদি, কোবিন্দের সুরক্ষায় দিল্লিতে বসছে মার্কিন ‘আমব্রেলা’]
এদিনের টহলদারিকে অবশ্য রুটিন বলেই ব্যাখ্যা করেছে পেন্টাগন। এমনিতেই উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর অতিরিক্ত সতর্ক আমেরিকা। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধবাজ প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের নেতৃত্বে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ং। ফাটিয়েছে হাইড্রোজেন বোমাও। কিম হুমকি দিয়েছেন, গোটা মার্কিন ভূখণ্ডই তাঁর মিসাইলের পাল্লার মধ্যে পড়বে। চাইলেই তিনি মার্কিন সেনাকে ছাইয়ে পরিণত করতে পারেন। উত্তর কোরিয়ার মসনদ থেকে তাঁকে সরানোর চেষ্টা করলে আমেরিকার বুকে পারমাণবিক অস্ত্রের হামলা চালানো হবে বলে হুঙ্কার ছেড়েছেন একনায়ক কিম। শুধু তাই নয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জাপানের উপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সিওল ও পেন্টাগনকে চমকে দেন কিম।
অবশ্য আমেরিকাও মুখ বুজে নেই। কয়েকদিন আগেই আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে সীমান্ত বরাবর ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে। উত্তর কোরিয়াকে কড়া বার্তা দিতেই ওই বোমাবর্ষণ। সেবার দু’টি বি ১বি সুপারসনিক বম্বার ও চারটি এফ-৩৬ স্টেলথ ফাইটার জেট লাগাতার দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্বে অবস্থিত একটি মিলিটারি ক্ষেত্রে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে। কিন্তু তাতেও টলানো যায়নি কিমকে। আপাতত কিছুদিন চুপচাপই রয়েছেন তিনি। তবে আমেরিকা যেভাবে পালটা আগ্রাসন দেখাতে শুরু করেছে, তাতে এর পর কিম কী করবেন, সেটাই এখন দেখার। তবে এদিন মার্কিন যুদ্ধবিমানের টহলদারিকে কেন্দ্র করে স্পর্শকাতর কোরীয় উপসাগরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
[উত্তর কোরিয়াকে কড়া বার্তা দিতে যুদ্ধবিমান থেকে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার]
The post উত্তর কোরিয়ার আকাশে লাগাতার টহল মার্কিন যুদ্ধবিমানের appeared first on Sangbad Pratidin.