সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নেওয়ার আগে ফের চিনকে বড়সড় ধাক্কা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এবার তিব্বত সংক্রান্ত একটি বিলে সই করে পরবর্তী দলাই লামার নির্বাচনে বেজিংয়ের প্রভাব অনেকটাই খর্ব করে দিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: নাভালনিকে বিষ দেয় রুশ গুপ্তচর সংস্থা FSB! প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য]
কয়েকদিন আগেই মার্কিন কংগ্রেস তিব্বত নীতি সহায়ক বিল (Tibetan Policy and Support Act 2020) পাশ করেছিল। রবিবার সেই বিলে স্বাক্ষর করে তা আইনে পরিণত করেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই নয়া আইনে সাফ বলা হয়েছে, পরবর্তী দলাই লামা নির্বাচন করতে চিন বা অন্য কোনও দেশের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন নেই তিব্বতীদের। নিজেদের পছন্দ মতো ধর্মগুরু বেছে নিতে পারবেন তাঁরা। কমিউনিস্ট আগ্রাসন এড়িয়ে সেই ১৯৫৯ সালে দলবল নিয়ে তিব্বত থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন ১৪তম দলাই লামা। তারপর থেকে ধর্মশালায় থাকেন তিনি। কিন্তু বর্তমান দলাই লামাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে দেখে চিন। কমিউনিস্ট দেশটির অভিযোগ, তিব্বতকে চিন থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছেন তিনি। এনিয়ে বেজিং ও নয়াদিল্লির মধ্যে চাপানউতোর রয়েছে। ভারতে কমপক্ষে এক লক্ষ তিব্বতি রয়েছেন। ইউরোপ এবং আমেরিকাতেও রয়েছেন কিছু মানুষ। এই আইনে বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে চিনা দূতাবাস বাড়াতে গেলে সবার আগে তিব্বতের রাজধানী লাসায় মার্কিন দূতাবাস তৈরির ছাড়পত্র দিতে হবে চিনকে। দলাই লামা বাছার ক্ষেত্রে তৃতীয় দেশের মতামত গুরুত্বহীন। তিব্বতের মানুষের জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। মেধাবী তিব্বতি ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পড়তে যেতে পারবেন। আমেরিকার এই পদক্ষেপে রেগে লাল চিন।
উল্লেখ্য, তিব্বত, হংকং ও তাইওয়ান নিয়ে চিনের বিরুদ্ধে বরাবর সুর চড়িয়েছে আমেরিকা। তিব্বতের বাসিন্দাদের উপর চিনের সরকার অকথ্য অত্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও। এহেন টানটান পরিস্থিতিতে গত নভেম্বর মাসে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে হোয়াইট হাউসে ঘুরে এসেছেন তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধান লোবসাঙ্গ সানগে। দীর্ঘ ৬০ বছর পরে হোয়াইট হাউসে তিব্বতের কোনও নেতার সফর জল্পনা উস্কে দিয়েছে। এই ঘটনার ফলে রীতিমতো ক্ষুব্ধ চিন (China)। সব মিলিয়ে চিনকে ঘিরে ফেলতে চেষ্টায় খামতি রাখতে চাইছে না ট্রাম্প প্রশাসন।