সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবিলম্বে গাজায় (Gaza) যুদ্ধবিরতি চেয়ে রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব পেশ করল আমেরিকা (USA)। টানা ছয় সপ্তাহ হামলা বন্ধ রেখে পণবন্দিদের ফিরিয়ে আনতে হবে, এই শর্ত রাখা হয় মার্কিন প্রস্তাবে। উল্লেখ্য, এর আগেও যুদ্ধবিরতি চেয়ে রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব পেশ করেছিল আমেরিকা। বন্ধু দেশের এহেন অবস্থানে ইজরায়েল (Israel) চাপে পড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সপ্তাহদুয়েক আগেই যুদ্ধবিরতি চেয়ে রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব পেশ হলেও ভেটো দিয়ে তা আটকে দিয়েছিল আমেরিকা। ওয়াশংটনের দাবি, যুদ্ধ বিরতির এই প্রস্তাবে পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কোনও উল্লেখ নেই। ফলে আমেরিকার সঙ্গে কাতার ও মিশরের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে যুদ্ধ থামানোর চেষ্টাও ব্যাহত হবে। আমেরিকার দাবি, নিরাপত্তা পরিষদে গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও প্রস্তাব পেশ হলে সেখানে পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার উল্লেখ থাকা দরকার।
[আরও পড়ুন: জোর করে নামানো হয়েছিল যুদ্ধে! রুশ সেনার হয়ে লড়াইয়ে মৃত্যু ভারতীয় যুবকের]
এহেন পরিস্থিতিতে দুসপ্তাহ আগে নতুন করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা। তবে সেই খসড়াটিকে তৃতীয়বার সংশোধন করা হয়েছে মঙ্গলবার। ছসপ্তাহের দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ রয়েছে সেই প্রস্তাবে। সেখানে আরও লেখা রয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদ যদি যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত কোনও প্রস্তাবে সায় দেয় সেখানে যেন পণবন্দিদের উদ্ধার করার বিষয়টিও উল্লিখিত থাকে। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, রমজান মাস শুরু হচ্ছে। এই সময়ে যুদ্ধ থামাতে রাজি ইজরায়েল। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রয়েছে হামাসের হাতেই।
প্রসঙ্গত, হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলি সেনার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই বেড়েছে গাজার আমজনতার দুর্দশা। ত্রাণের ভরসাতেই তাঁদের দিন কাটছে। ভারত-সহ একাধিক দেশ গাজার জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে। তার মধ্যেই যুদ্ধবিরতির কথাও জানাল হোয়াইট হাউস। তাদের দাবি, গাজায় আরও বেশি পরিমাণে ত্রাণ পাঠানোর সুযোগ দিতে হবে ইজরায়েলকে। যুদ্ধবিরতি চেয়ে বন্ধু আমেরিকার এহেন অনড় অবস্থানে স্বভাবতই বিপাকে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন।
কেন আচমকা বন্ধু ইজরায়েলকে চাপ দিচ্ছে আমেরিকা? বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় ইজরায়েলি হানায় যেভাবে সাধারণ মানুষের মৃত্যুমিছিল চলছে তাতে রুষ্ট আন্তর্জাতিক মহল। পাশাপাশি সৌদি আরবের মতো বন্ধু দেশগুলোও চাইছে গাজার হামলা বন্ধে সচেষ্ট হোক আমেরিকা। সেই সঙ্গে আমেরিকার অন্দরেও রোষ বাড়ছে ইজরায়েলি হানার বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে, যুদ্ধ বন্ধ করতে কার্যত মরিয়া বাইডেন প্রশাসন।