shono
Advertisement

মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে ট্রাম্প মনোনীত অ্যামি কোনি ব্যারেট

হোয়াইট হাউসে একটি অনুষ্ঠানে চিফ জাস্টিস পদে শপথ নেন তিনি।
Posted: 02:54 PM Oct 27, 2020Updated: 02:54 PM Oct 27, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনের আবহে বড়সড় স্বস্তি পেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে বসলেন তাঁর মনোনীত অ্যামি কোনি ব্যারেট (Amy Coney Barrett)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্বদেশীদের সুযোগ, H1B চাকরির ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক ভিসায় রাশ টানতে চলেছে আমেরিকা]

স্থানীয় সময় মতে, সোমবার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে প্রধান বিচারপতি পদ নিয়ে ভোট হয়। রিপাবলিকানদের দখলে থাকা কক্ষে অ্যামি ৫২টি ভোট পেয়েছেন তিনি। বিপক্ষ প্রার্থী পেয়েছেন ৪৮টি। উল্লেখ্য, মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে সংখ্যাগুরু রিপাবলিকানরা। তাই দলীয় ও প্রেসিডেন্টের মত মেনে তাঁরাই এগিয়ে দিলেন অ্যামিকে। তারপরই হোয়াইট হাউসে একটি অনুষ্ঠানে চিফ জাস্টিস পদে শপথ নেন তিনি। অ্যামি কোনি ব্যারেটের নিয়োগের মাধ্যমে বর্তমানে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারক প্যানেলে রক্ষণশীলরা ৬-৩-এ এগিয়ে গেল। ৪৮ বছর বয়সী অ্যামি হলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কর্তৃক নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় বিচারক। তাঁর জয়ের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বললেন, ‘”আমেরিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান, পক্ষপাতহীন আইনের জন্য স্মরণীয় দিন। আমরা যেন কখনও আমাদের ইতিহাস ও বীরদের প্রতি বিশ্বাস না হারাইহারানো।”‌ পদে নির্বাচিত হওয়ায় আপ্লুত ব্যারটেও। তাঁর বক্তব্য, “‌আমি এখানে দাঁড়িয়ে গর্ব অনুভর করছি।”

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মুখে কি সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ পদে এমন নিয়োগ হওয়া উচিত? দীর্ঘদিন ধরেই এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছিল যুক্তরাষ্ট্রে। ডেমোক্র্যাটরা এই বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেখানে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের হাত থাকে। প্রেসিডেন্ট বিচারপতি মনোনীত করেন। ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মুখে হওয়া অনুচিত।

উল্লেখ্য, মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে অ্যামি কোনি ব্যারেট বসায় ট্রাম্প অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন বলে মত বিশ্লেষকদের। কারণ, কয়েকদিন আগেই ট্রাম্প (Donald Trump) সাফ বলেছিলেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে কোনও বিতর্ক হয়ে মামলা আদালতে গড়ালে বিচারপতির আসনে অ্যামিকে দেখতে চান তিনি। তবে নির্বাচন নিয়ে বিচারপতি অ্যামির দৃষ্টিভঙ্গী স্পষ্ট নয়। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও মামলায় এর আগে রায়দানও করেননি তিনি। ফলে আসন্ন নির্বাচনে কোন গোল বাঁধলে তা সামাল দিতে কতটা সক্ষম হবেন তিনি তা সময়ই বলবে।

[আরও পড়ুন: নজরে চিন, তাইওয়ানকে ২৫০ কোটির হারপুন মিসাইল দিচ্ছে আমেরিকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement