সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংঘাতের দিকে আরও এগিয়ে গেল আমেরিকা ও ইরান (Iran)। সোমবার ইরাক-সিরিয়া সীমান্তে তেহরানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির ঘাঁটিতে তুমুল বোমাবর্ষণ করে মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলি।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, ইরাক ও সিরিয়া সীমান্তে সোমবার হামলা চালায় মার্কিন বায়ুসেনা। বোমাবর্ষণে মৃত্যু হয়েছে সাত সন্ত্রাসবাদীর। মার্কিন মসনদে জো বাইডেন বসার পর ইরান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে এটা দ্বিতীয় হামলা। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, “ইরানের মদতপ্রাপ্ত জঙ্গি সংগঠনগুলির তিনটি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়ছে। এর মধ্যে একটি ঘাঁটি ইরাকে ও দু’টি ঘাঁটি সিরিয়ায়। সেখান থেকে ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলিতে ড্রোন হামলা চালাচ্ছিল জঙ্গিরা। এহেন আক্রমণ প্রতিহত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। যে ঘাঁটিগুলিতে আমরা হামলা চালিয়েছি সেখানে হাতিয়ার মজুত করত সন্ত্রাসবাদীরা।” কিরবি জানান, ওই ঘাঁটিগুলি থেকে ‘কাতায়েব হেজবোল্লা’ ও ‘সৈয়দ আল-সুহাদা’-সহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন আমেরিকার বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: ব্রিটেনকে চোখ রাঙাচ্ছে রাশিয়া, ভূমধ্যসাগরের আকাশে উড়ছে রুশ যুদ্ধবিমান]
উল্লেখ্য, এই মাসেই ইরাকের (Iraq) বায়ুসেনা ঘাঁটিতে একাধিকবার রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। চলতি বছরে ইরাকে মার্কিন সেনঘাঁটিগুলিতে অন্তত চল্লিশবার হামলা হয়েছে। এহেন হামলার জন্য বারবার ইরানের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে আমেরিকা। ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলিতে তেহরানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী শিয়া সংগঠনগুলি হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ওয়াশিংটনের। উল্লেখ্য, গত মে মাসেও আইন-আল-আসাদ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালায় জঙ্গিরা। তার আগে বাগদাদ বিমানবন্দরের ঘাঁটিতে তিনটি রকেট হামলা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের পর থেকেই দেশটিতে ইরান ও আমেরিকার বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। ইরাকে এখনও মার্কিন সেনার সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথগ্রহণের পর থেকে ইরাকে থাকা আমেরিকার সেনা-সম্পত্তির উপর হামলা বেড়েছে। গত কয়েক মাসে অন্তত চল্লিশবার হামলা হয়েছে মার্কিনি সেনা, দূতাবাসের উপর। এমনকী, আমেরিকা থেকে ইরাকের জন্য আসা পণ্য সরবরাহের গাড়িতেও হামলা চালিয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট জেহাদি সংগঠনগুলি।