সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’র বর্ষপূর্তিতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার বার্তা দিল আমেরিকা। শুক্রবার মায়ানমার থেকে বিতাড়িত সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ব্রিকস সামিটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক হয় চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। তারপরেই ব্লিঙ্কেনের মুখে রোহিঙ্গা ইস্যু উঠে আসায় জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে।
রোহিঙ্গা ‘গণহত্যার’ ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, “মায়ানমারের জনগণের গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষায় তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ অব্যাহত রাখবে আমেরিকা। প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে শুরু নির্বাচনী তোড়জোড়, ‘পাশে থাকবে ভারত’, বিশ্বাস আওয়ামি লিগের]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলন চলাকালীন পার্শ্ববৈঠক হয় শি ও হাসিনার। সেখানে চিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে চিন। আমরা এই অঞ্চলে অস্থিরতা চাই না।” শুধু তাই নয়, সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় বাংলাদেশকে সমর্থন করবে বেজিং বলেও জানান তিনি। এরপরই আজ ব্লিঙ্কেনের মুখে রোহিঙ্গা ইস্যু উঠে আসায় জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে।
বিগত বছর দুয়েকে আমেরিকা-বাংলাদেশের সম্পর্কে বরফের পুরু আস্তরণ জমেছে। ভোটসন্ত্রাস ও মানবাধিকার প্রসঙ্গে ঢাকার উপর চাপ বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন। গত মে মাসে হাসিনা ইঙ্গিত করেন যে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় আমেরিকা। এহেন পরিস্থিতিতে, মার্কিন চাপে চিনের অক্ষে প্রবেশ করতে পারে বাংলাদেশ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারত। পর্দার আড়ালে দিল্লি ও ওয়াশিংটন কূটনীতি জোরাল হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে আমেরিকা। তাই বিদেশ সচিব ব্লিঙ্কেনের মুখে উঠে এসেছে রোহিঙ্গা ইস্যু।