shono
Advertisement

৩৬টি হাউথি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আমেরিকা ও ব্রিটেনের পাশে ৬ ‘বন্ধু’

হাউথি ঘাঁটিতে যৌথ অভিযান ব্রিটেন এবং আমেরিকার। ইয়েমেনে হাউথিদের ৩৬টি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ। গোপন ডেরা চিহ্নিত করে আমেরিকা এবং ব্রিটেন আকাশপথে হামলা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের সাহায্য করেছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরিন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং নিউজিল্যান্ড।
Posted: 09:47 AM Feb 04, 2024Updated: 09:53 AM Feb 04, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাউথি ঘাঁটিতে যৌথ অভিযান ব্রিটেন এবং আমেরিকার। ইয়েমেনে হাউথিদের ৩৬টি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ। গোপন ডেরা চিহ্নিত করে আমেরিকা এবং ব্রিটেন আকাশপথে হামলা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের সাহায্য করেছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরিন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং নিউজিল্যান্ড। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘লোহিত সাগরের আন্তর্জাতিক এবং বাণিজ্যিক জাহাজে হাউথিদের লাগাতার হামলার প্রত্যাঘাত। ইয়েমেনের ১৩টি এলাকায় ৩৬টি হাউথি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।’’

Advertisement

ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকেই লোহিত সাগরে হাউথিদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরানের মদতপুষ্ট হাউথিদের তরফে জানানো হয়, গাজায় প্যালেস্তিনীয়দের সমর্থনে এই হামলা চালানো হচ্ছে। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে তারা। বেছে বেছে আক্রমণ শানানো হচ্ছে ইজরায়েলপন্থী বাণিজ্যতরীতে। গত দুমাস ধরে লোহিত সাগরে মার্কিন বাণিজ্যতরীতে হামলা চালিয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট হাউথি জঙ্গিরা। বিভিন্ন দেশের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে লোহিত সাগরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে লাগাতার। জর্ডনে সিরিয়া সীমান্তে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হাউথিদের হামলার জেরে মৃত্যু হয় তিন মার্কিন সেনার। জখম হন অনেকেই। হাউথির লাগাতার হামলার প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পথে। ইরানের মদতপুষ্ট এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ শানাল আমেরিকা ও ব্রিটেন। এবার ১৩টি এলাকায় ৩৬টি হাউথি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: কাপড়ে বাঁধা হাত-পা-মুখ! ৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর পুকুরে মিলল শিশুর দেহ]

এর আগে ১১ জানুয়ারি ইয়েমেনে হাউথিদের ঘাঁটিতে হামলা চালায় ব্রিটেন ও আমেরিকা। হাউথিদের অস্ত্রভাণ্ডার খুঁজে বের করতে গোপন অভিযান শুরু করে মার্কিন নৌবাহিনী। তার আগে দক্ষিণ লোহিত সাগরে হাউথিদের মিসাইল ও ড্রোন ধ্বংস করে দেয় দুই দেশ। মার্কিন হামলায় ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে হাউথিদের এক রাডার স্টেশনও। জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় নজরদারির পাশাপাশি হাউথিদের অস্ত্রভাণ্ডার খুঁজে বের করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল নেভি সিলস কমান্ডোদের। ওই অঞ্চলে তল্লাশির পর হাউথিদের বড়সড় অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজ পায় তারা। বাজেয়াপ্ত করা হয় সেই সমরাস্ত্র। সেগুলোর মধ্যে ছিল, ইরানে তৈরি ব্যালিস্টিক মিসাইলের অংশ, ক্রুজ মিসাইল, জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র-সহ একাধিক অস্ত্রশস্ত্র। এই হাতিয়ারগুলো দিয়েই হাউথিরা লোহিত সাগরে হামলা চালাত বলে অভিযোগ।

[আরও পড়ুন: রাজ্য বাজেটে নারী ক্ষমতায়নে বিশেষ নজর? বরাদ্দ বাড়বে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement