সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ান (Taiwan) দখলের চেষ্টায় সামরিক পদক্ষেপ করলে ফল ভুগতে হবে চিনকে। কোনও রাখঢাক না করেই হুমকি দিয়েছে আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধের মাঝে জীবনের জয়গান, আর্মেনিয়ায় একটি ব্যতিক্রমী ভারতীয় রেঁস্তরার গল্প]
বুধবার কড়া ভাষায় মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন বলেন, “গায়ের জোরে তাইওয়ান দখলের চেষ্টা করলে চিনকে ফল ভোগ করতে হবে। সমুদ্র পেরিয়ে তাইওয়ানের জমিতে ফৌজ নামানো অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। এছাড়া, চিন (China) সেনা পাঠালে আমেরিকা কোথায় প্রত্যাঘাত করবে সেটাও মাথায় রাখা উচিত।”
‘ইউনিভার্সিটি অফ নেভাডা’য় এক অনুষ্ঠানে ও’ব্রায়েন জানান, অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে নিজের নৌবাহিনীকে বাড়িয়ে তুলছে চিন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ নৌসেনার সঙ্গে পাল্লা দিতে এভাবেই সমুদ্রে শক্তি বাড়িয়েছিল জার্মানি। তারপর থেকে এহেন ব্যাপক সামরিক প্রস্তুতি দেখা যায়নি। তিনি বলেন, “চীনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে আমেরিকাকে বের করে তাইওয়ান দখল করা।”
দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মতে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াতে আইনত বাধ্য আমেরিকা। তবে চিন হামলা চললে আমেরিকা কি আদৌ সামরিক পদক্ষেপ করবে, এই প্রশ্নের উত্তীর নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও ও’ব্রায়েনের মন্তব্য সাফ করে দিচ্ছে যে বেজিং আগ্রাসন চালালে ওয়াশিংটন হুপ থাকবে না।
উল্লেখ্য, ‘এক চিন’ নীতিকে ধাক্কা দিয়ে গত আগস্টের ১০ তারিখ বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার। তাইপে গিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের জোরালো সমর্থন রয়েছে বলে জানান৷ তাইওয়ানের স্বাস্থ্য ও বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে করোনা মহামারীর মোকাবিলা করতে তাইওয়ানের পদক্ষেপকে বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে উল্লেখ করেন। আজার তাইওয়ানের খোলামেলা, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক সমাজের ভূয়সী প্রশংসাও শোনা যায় আমেরিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মুখে।