সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। এখনও পুরোমাত্রায় বহাল যুদ্ধের ঝাঁজ। মস্কো বুধবারই একটি শিশু হাসপাতালে বোমা ফেলেছে। বোমার আঘাতে কমপক্ষে ১৭ জন জখম হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন অনেকে। এই ঘটনায় পুতিনের কড়া সমালোচনা করেছে রাষ্ট্রসংঘ (UN)। এর মধ্যেই আমেরিকার আশঙ্কা, এবার যুদ্ধে জৈব অস্ত্র (Biological Weapon) ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া!
যদিও আগেই এর ঠিক উলটো অভিযোগ করেছে রাশিয়া (Russia)। তাদের দাবি, ইউক্রেনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র প্রয়োগের কথা পরিকল্পনা করছে আমেরিকা। এবার সেই দাবিকে উড়িয়ে ওয়াশিংটনের দাবি, রাশিয়ার ইঙ্গিত থেকে মনে হচ্ছে এবার হয়তো রাশিয়াই যুদ্ধে জৈব অস্ত্র প্রয়োগ করতে চলেছে।
[আরও পড়ুন: মাদক কাণ্ডে অভিযুক্ত পামেলাকেই সাংস্কৃতিক সেলের দায়িত্ব দিল BJP, অখুশি দলের একাংশ]
মার্কিন মুখপাত্র নেড প্রাইস একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ”ক্রেমলিন ইচ্ছাকৃত ভাবে মিথ্যে রটাচ্ছে যে আমেরিকা ও ইউক্রেন মিলে রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র প্রয়োগ করতে চাইছে। এভাবেই ইউক্রেনে নিজেদের ভয়ংকর হামলার সপক্ষে যুক্তি সাজাচ্ছে রাশিয়া।”
এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকির দাবি, ”চিনকেও এভাবেই কন্সপিরেসি থিয়োরি আওড়াতে দেখা গিয়েছে। একই ভাবে রাশিয়াও এমন সব দাবি করছে। আমাদের লক্ষ রাখতে হবে রাশিয়া রাসায়নিক কিংবা জৈব অস্ত্র ইউক্রেনে প্রয়োগ করে কিনা।”
গত ৬ মার্চ রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটা টুইট করা হয়। সেই টুইটে দাবি করা হয়, কিয়েভে সামরিক-জৈব অস্ত্র প্রয়োগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, এমন প্রমাণ নাকি মিলেছে। এবার সেই দাবি উড়িয়ে পালটা অভিযোগ আমেরিকার।
[আরও পড়ুন: Assembly Polls Result Live Update: ৫ রাজ্যে নিশ্চিহ্ন! ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে রাস্তায় কংগ্রেস]
এদিকে যুদ্ধে শক্তিশালী রাশিয়াকে পালটা মার দিতে দেখা গিয়েছে ইউক্রেনকে। জানা গিয়েছে, রুশ আগ্রাসন থেকে খারকভ এবং ডেরহাচি শহর পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইনডিপেনডেন্ট সূত্রে খবর, খারকভের প্রশাসনিক প্রধান ওলে সিনেগুবোভ জানিয়েছেন, শহরকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছিল। কিন্তু যোগ্য জবাব দিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। পালটা হামলায় রুশ সেনার দখল থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে খারকভ। একই পরিস্থিতি ডেরহাচিরও।