সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ইউক্রেনকে বিপুল অঙ্কের সামরিক সাহায্য করবে আমেরিকা। ঘোষণা করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। কয়েকদিন আগেই হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছিল, অনির্দিষ্ট কালের জন্য যুদ্ধের ময়দানে কিয়েভকে মদত জুগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ ধীরে ধীরে অর্থ ফুরিয়ে আসছে ওয়াশিংটনের। ফলে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল ইউক্রেনের কপালে।
রয়টার্স সূত্রে খবর, বুধবার ব্লিঙ্কেন (Antony Blinken) জানিয়েছেন, যুদ্ধ আবহে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সাহায্য করা হবে ইউক্রেনকে। এই প্যাকেজে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, উচ্চ গতিশীল আর্টিলারি রকেট সিস্টেম, গোলাবারুদ-সহ বিভিন্ন অস্ত্রশ্রস্ত্র রয়েছে। থাকছে প্রায় দেড় কোটি গোলাগুলিও। চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর মাসে ইউক্রেনের জন্য প্রায় একশো কোটি ডলারের সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব।
[আরও পড়ুন: ভারতে অস্ত্র বানাবে রাশিয়াও, বড় ঘোষণা রুশ বিদেশমন্ত্রীর]
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ইউক্রেনকে (Ukraine) বেহিসাব সামরিক সহায়তার ফলে আমেরিকার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে এই সহায়তা নিয়ে আমেরিকার অন্দরেই চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এমনিতেই মুদ্রাস্ফীতিতে জেরবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেশ। এমতবস্থায় ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে (Ukraine-Russia War) অতিরিক্ত অর্থসাহায্য বন্ধের পক্ষেই সওয়াল করছেন সে দেশের বহু জনপ্রতিনিধি।
সম্প্রতি রয়টার্স-ইপসোস প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলা হয়েছিল, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা নিয়ে আমেরিকার প্রধান দুই রাজনৈতিক দলে সমর্থন কমে আসছে। স্বাভাবিকভাবেই কিয়েভের জন্য এটা সতর্কবার্তা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের সবথেকে বড় অস্ত্র সরবরাহকারীদের মধ্যে অন্যতম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪১ শতাংশ মনে করেন আমেরিকার উচিত ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা। ৩৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী দ্বিমত পোষণ করেছেন এবং বাকিরা উত্তর দেননি। ফলে নানা টালবাহানার মাঝেই বছর শেষে ‘বন্ধু’ ইউক্রেনের দিকে ফের সাহায্যের হাত বাড়াল আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে মোদির সাফল্য কামনায় পুতিন, জয়শংকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ রুশ প্রেসিডেন্টের]