সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনে পৌঁছলেন আমেরিকার (USA) বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Antony Blinken)। দু’দিনের সফরে সেদেশে পৌঁছেছেন মার্কিন নেতা। প্রায় চার মাস আগে মার্কিন বিদেশ সচিবের এই সফর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গুপ্তচর বেলুন পাঠানো নিয়ে চিন ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। তবে আপাতত সেই তিক্ততা ভুলে চিন (China) সফরে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন। যদিও এই সফরে কতখানি লাভ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কূটনৈতিক মহলে।
আমেরিকা ও চিন-সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছে দুই দেশ। প্রশান্ত মহাসাগরে চিনের আগ্রাসনের জেরে আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে- সেই দাবিতে সুর চড়িয়েছে আমেরিকা। তার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে মার্কিন প্রশাসন খুবই আগ্রহী। তার কারণ- আঞ্চলিক ক্ষেত্রে চিনের একাধিপত্য রুখতে সক্ষম ভারত। সবমিলিয়ে, আমেরিকা ও চিনের মধ্যে তিক্ততা কমার আপাতত কোনও লক্ষণ নেই।
[আরও পড়ুন: মারাত্মক ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে! ৮৮ হাজার কোটি টাকা উধাও হওয়া নিয়ে সাফাই রিজার্ভ ব্যাংকের]
এহেন পরিস্থিতিতে চিনে পা রাখলেন মার্কিন বিদেশ সচিব। সফর শুরুর আগে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, দুই দেশের মধ্যে যা কিছু ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে, সেগুলো এই সফরে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থাকবে। আরও শান্তিপূর্ণভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। নানা ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা তো লেগেই থাকবে। কিন্তু তার জেরে যেন সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন দুই দেশের কূটনীতিকরা।
ব্লিঙ্কেনের পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে বেরিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভ্যান। কয়েকদিন আগেই ভারত সফরে এসেছিলেন তিনি। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। তারপরেই জাপান ও কোরিয়ায় পা রেখেছেন সুলিভ্যান। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন পরে আমেরিকা সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন কেনার চুক্তিও এই সফরে চূড়ান্ত হবে বলেই জানা গিয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সখ্যের এই আবহের মধ্যে ব্লিঙ্কেনের চিন সফরে আদৌ কোনও লাভ হবে কিনা, ধন্ধে কূটনৈতিক মহল।