সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণের মিথ্যে মামলায় ৪ বছর ধরে জেল খাটছিলেন ২৫ বছর বয়সি এক যুবক। আইনের সুযোগ নিয়ে যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যে ধর্ষণের মামলা করায় এবার মহিলার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল আদালত। ওই মহিলার জেরে ঠিক যতদিন যুবক জেল খেটেছেন ততদিনের জন্য মহিলাকে হাজতবাসের নির্দেশ দিলেন বিচারক। শুধু তাই নয়, ৫.৮৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে মহিলাকে। শনিবার নজিরবিহীন এই নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বরেলির এক আদালত।
দেশের সংবিধানে ন্যক্কারজনক ক্ষমাহীন অপরাধ ধর্ষণ। এহেন অপরাধ রুখতে নির্যাতিতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কড়া শাস্তির বিধান রয়েছে সংবিধানে। তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ধর্ষণ বিরোধী আইনের সুযোগ নিয়ে প্রতিহিংসায় লিপ্ত হন মহিলারা। সংখ্যায় কম হলেও এই ঘটনা একেবারে বিরল নয়। তারই উদাহরণ দেখা গেল উত্তরপ্রদেশে। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ২৫ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছিলেন ২১ বছরের এক তরুণী। সেই মামলার জেরে জেলবন্দি ছিলেন যুবক। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই মহিলার বয়ান পুনরায় খতিয়ে দেখার সময় অসঙ্গতি নজরে আসে তদন্তকারীদের। এর পর দীর্ঘ জেরায় পুলিশের কাছে মহিলা স্বীকার করে নেন ওই যুবকের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যে। অতঃপর মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও আদালতে জামিন পেয়ে যান তিনি। এদিকে গত ৮ এপ্রিল তথ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পান যুবক। কিন্তু ততদিনে ৪ বছর ৮ মাস ৬ দিন জেল খাটা হয়ে গিয়েছে যুবকের।
[আরও পড়ুন: ‘গুন্ডাদের উলটো ঝোলাব, খুলে যাবে বন্ধ কারখানা’, দিলীপ জিতলে কেমন হবে দুর্গাপুর? জানালেন শাহ]
গত শনিবার সেই মামলার শুনানিতে ধর্ষণের মিথ্যে মামলাকারী তরুণীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে বরেলির এক আদালত। আদালতের কাছে মিথ্যে কথা বলা ও মিথ্যে প্রমাণ পেশ করার অভিযোগে ২১ বছরের ওই তরুণীকে আদালত জানায়, মিথ্যে মামলায় ঠিক যতদিন ওই যুবক জেল খেটেছেন ততদিন সাজা ভোগ করতে হবে তাঁকেও। অর্থাৎ ৪ বছর ৮ মাস ৬ দিন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। একইসঙ্গে ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সাজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।