সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অমিত শাহের বিশ্বভারতী সফর নিয়ে চর্চা জারি রাজনৈতি মহলে। নানাভাবে তৃণমূলের কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তীকে। বিশ্বভারতীকে নিয়েও রাজনীতি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য বিশ্বভারতীর শতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন উপাচার্য। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই আমন্ত্রণে সাড়া দেবেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
দিন কয়েক আগেই বঙ্গ সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি গিয়েছিলেন বোলপুরে। হাজির হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতীতে। সেখানে প্রথমে উপাসনা গৃহ ঘুরে দেখেন তিনি। যোগ দেন সংগীত ভবনের অনুষ্ঠানে। এরপর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠকও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যা মোটেও ভালভাবে নেয়নি তৃণমূল-সহ অনেকেই। সফর চলাকালীনই অমিত শাহের বিরোধিতা করে শান্তিনিকেতনে বিক্ষোভ দেখান বামপন্থী সংগঠনের সদস্যরা। সকাল থেকে সোনাঝুড়ি হাটেও চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের ছিল প্ল্যাকার্ড। তাঁদের কথায়, “বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি সম্মান করে না। বিদ্যাসাগর-রবীন্দ্রনাথকে জানেন না। শ্রদ্ধা করেন না। গোটা দেশে অশান্তি ছড়াচ্ছে। দাঙ্গা বাধাচ্ছে তারা। দাঙ্গাকারীরা শান্তিনিকেতনে কেন আসবে?”
[আরও পড়ুন:প্রোমোটিং বিবাদ নাকি রাজনৈতিক সংঘাত? মধ্যমগ্রামে বিজেপি কর্মীর বাবা খুনে চাঞ্চল্য]
এদিকে উপাচার্য-কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল তৃণমূল। বোলপুরের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ‘বিজেপির লোক’ তকমা দিয়েছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন, বিশ্বভারতীতেও রাজনীতি হচ্ছে বলে। হুঁশিয়ারি দিয়ে অনুব্রত বলেন, “এক পাগল ভিসি। ও যদি মনে করে যা খুশি তাই করব। তাহলে মানব না। এতদিন বিশ্বভারতী নিয়ে রাজনীতি করিনি। এবার করব। বিশ্বভারতীর ভিতরে ঢুকে পতাকা লাগিয়ে দেব ও যদি পাগলামি না ছাড়ে। ওর মস্তিষ্ক খারাপ বলে তো সকলের নয়।” এসবের মাঝেই উপাচার্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।